শাকিব ছেলের খাওয়া খরচের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে : অপু

শাকিব ছেলের খাওয়া খরচের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে : অপু

ছেলের খাওয়া খরচের টাকা- এখনো শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের তালাক কার্যকর না হলেও এরই মধ্যে তাদের একমাত্র সন্তান জয়ের খরচ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শাকিব । অপু বিশ্বাস নিজেই গণমাধ্যমে এ দাবি করেছেন।

 

অপু বলেছেন, ডিসেম্বরে তালাকের নোটশি পাঠানোর আগ পর্যন্ত শাকিব খান এক লাখ টাকা করে পাঠাত। কিন্তু এরপর থেকে আর দিচ্ছে না। তার কাছে হয়তো মনে হয়েছে, লেটার পাঠানোর পর আর দেয়া লাগবে না। তাই হয়তো দিচ্ছে না।

 

তালাকনামা পাঠানোর পর শাকিব তার সন্তান জয়ের সঙ্গেও দেখা করেননি বলে দাবি করেছেন অপু। তিনি বলেন, আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর তিনদিন আগে শাকিবের সঙ্গে জয়ের শেষ দেখা হয়েছিল। শাকিবের বাসায় জয় তিনদিন ছিল। আমিই রেখেছিলাম। শাকিবের কাছে রেখে আমি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম।

 

অপু বিশ্বাস বলেন, শাকিব বলেছে, বাচ্চার জন্য বিদেশ থেকে ড্রেস নিয়ে এসেছে। কিন্তু বাচ্চা খাবে কী, সেটা কিন্তু সে দেখছে না।আমার বাসার ভাড়াটা সেই দেয়। এবারে তাও দিয়ে যায়নি। ওর এসবে কোনো টান নেই, সংসার নিয়ে হয়তো ভাবনাও নেই। ওর ক্যারিয়ার দরকার। ক্যারিয়ারের জন্য ও প্রেম, ভালোবাসা, সংসার, পরিবার সবই জলে ভাসিয়েছে।

 

এদিকে গত রবিবার রাতে দেশে ফিরে সোমবার রাতেই আবার শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে উড়াল দেন অস্ট্রেলিয়ায়। এর আগে শাকিব খান জানান, কয়েক দিন ধরে বাচ্চাটার জন্য মনটা খুব কাঁদছিল। তাই তাড়াহুড়ো করে অল্প সময় নিয়ে জয়কে (শাকিব-অপুর সন্তান) দেখতে এসেছেন। অপু (অপু বিশ্বাস) বাচ্চাটাকে দেখতে দেয়নি।

 

কিন্তু শাকিব খানের এ দাবি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অপু বিশ্বাস। গণমাধ্যমে এ অভিনেত্রী বলেছেন, ছেলেকে দেখতে চেয়ে শাকিব কোনো যোগাযোগই করেননি। শাকিবের কোনো কল আসেনি। তার কোনো লোকও আমাকে কল দেয়নি।

 

অপু আরও বলেন, বাবা হিসেবে শাকিব চমৎকার। যখন সে দেশে আসে সেই সময়টাতে তো ওর উচিত ছেলের কাছে থাকা। ও কখন দেশে আসে কখন যায় কিছুই জানি না আমি। ছেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে না। লোকে মন্দ বলবে সেই ভেবে ও নিজের দোষ বারবার আমার ওপর চাপাতে চায়।

 

অপুকে খারাপ প্রমাণ করার জন্যই শাকিব এসব করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। অপু বলেন, ছেলেকে দেখতে চাইলে কে তাকে আটকে রেখেছিল? নাকি নিউজ করিয়ে আমাকে খারাপ স্ত্রী প্রমাণ করাই মূল উদ্দেশ্য? এতদিন পর এসে ছেলের পাশে একটু সময়ের জন্যও বসতে পারলো না, বাবা হিসেবে লজ্জা হওয়া উচিত ছিল তার।