অনেকদিন পর দারুণ খুশি মাশরাফি

অনেকদিন পর দারুণ খুশি মাশরাফি

হাঁটু বা পিঠের বড় ধরনের ইনজুরিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভরসা ডেভিড ইয়াং। মাশরাফি মুর্তজার চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত হলেও বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের অস্ত্রোপচার করেছেন তিনি। মাশরাফিকেই অবশ্য সবচেয়ে বেশি তার ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে।

 

টাইগারদের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ ডা. ইয়াং বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির আমন্ত্রণে একটি কর্মশালায় অংশ নিতে এখন ঢাকায়। মঙ্গলবার তাকে পেয়ে সবাই দারুণ খুশি।

 

অস্ট্রেলিয়ান এই শল্য চিকিৎসককে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ইকরাম বাবু। অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড কমিশনের ইন্টারন্যাশনাল হেলথে কাজ করার সুবাদে ডেভিড ইয়াংয়ের সঙ্গে তার পরিচয়।

 

মিরপুর ক্রিকেট একাডেমির কনফারেন্স রুমে বিসিবির চোট পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন এই অর্থোপেডিক সার্জন। সেখানে মাশরাফি ছাড়াও ক্রিকেটার আবুল হাসান রাজু ও নাঈম ইসলাম ছিলেন। এসময় মাশরাফির অস্ত্রোপচারের ভিডিও দেখিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডেভিড ইয়াং।

 

কিছু দিন ধরে বাঁ হাটুর ঠিক পেছনে সামান্য ব্যথা অনুভব করছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। প্রিয় চিকিৎসককে কাছে পেয়ে সমস্যার কথাও জানিয়েছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে মাশরাফি বললেন, ‘তিনি কালই চলে যাবেন। তাই আমি মেইলে এমআরআই রিপোর্ট তাকে পাঠিয়ে দেবো। উনি রিপোর্ট দেখেই সাজেশন দেবেন। আজ উনি ব্যথার জায়গাটা দেখেছেন।’

 

মাশরাফির দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতটি, যার ছয়টিই করেছেন ডেভিড ইয়াং। এখনও ক্রিকেট খেলতে পারছেন বলে এই চিকিৎসকের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ, ‘আমার ছয়টি বড় অস্ত্রোপচার উনার (ডেভিড ইয়াং) হাত দিয়ে হয়েছে। তার জন্যই আমি এখনও খেলতে পারছি। অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।’

 

শাহাদাত হোসেন রাজীব, আবুল হাসান, তামিম ইকবাল সহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের চিকিৎসা করেছেন ডেভিড ইয়াং। মাশরাফি তো চিকিৎসক হিসেবে তাকে ছাড়া আর কারও কথা ভাবতেই পারেন না, ‘আমাদের অনেক ক্রিকেটারের হাঁটু আর পিঠে তিনি অস্ত্রোপচার করেছেন। ক্রিকেটাররা তার ওপরে ভীষণ নির্ভর করে। আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারি, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন অকৃত্রিম বন্ধু।’