কেন মেয়েরা বিয়ের পর মোটা হয়?

কেন মেয়েরা বিয়ের পর মোটা হয়?

বিয়ের পর কেন মেয়েরা মোটা হয় এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়।

যে নারী বিয়ের আগে তার দেহ হালকা ও পাতলা গঠনের ছিল, তার মনেও প্রশ্ন জাগে আমি কেনো মোটা হয়ে যাচ্ছি? আবার লোকদের মধ্যে কতগুলো বাজে ধারণ পোষণ করে যে, স্বামীর সাথে সহবাস করার কারণে বিয়ের পরে মেয়েরা মোটা হয়ে যায়। নিয়মিত সহবাস নারী পুরুষের স্বাস্থ্য উপকার করে থাকে ঠিক, কিন্তু তাদের এ বাজে ধারণা সঠিক নয়। মূলত বিয়ের পর নারীরা মোটা হয়ে যায় নারীদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন হওয়ার কারণে। আসুন জানি বিয়ের পর মেয়েদের মোটা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।

 

বাজে ধারণা কারি ব্যক্তিরা সব কিছুতেই বাজে ধারণা পোষণ করে। যেমন বিয়ের পর কোন নারী পুরুষকে হালকা হয়ে যেতে দেখলে বলতে শুরু করে রাতে মনে হয় রোমান্স একটু বেশিই হয়!

 

বিয়ের পর মেয়েরা মোটা ও ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারন

বিয়ের পর যে ৮ টি কারণে নারীদের দ্রুত ওজন বেড়ে যায় এবং মোটা হতে শুরু করে…

 

০১. হরমোন নিঃসরণের পরিবর্তনঃ অধিকাংশ মেয়েরই বিয়ের পরে তাদের জীবনযাত্রা বদলে যায়। যার ফলে শরীরের হরমোনের নিঃসরণের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। ফলাফল শরীরে বাড়তি মেদ জমতে শুরু করে। ওজন বাড়তে থাকে হু হু করে। সমীক্ষা বলছে, ৮২ শতাংশের নারীর বিয়ের ৫ বছরের মধ্যে দৈহিক ওজন বৃদ্ধি ঘটে।

 

০২. গাফলতিঃ বেশির ভাগ নারী বিয়ের আগে টাইট-ফিট শরীর ধরে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও  ব্যায়ামের দিকে খেয়াল রাখেন। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের পরেই সেই সমস্ত যত্নে কমতি দেখা দেয়। তার সাথে জাঙ্ক খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম না করার প্রবণতা তো দেখা দেয়, এর সাথে শুরু হয় নতুন জীবনের সাথে নিজেকে মিলিয়ে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা। যার ফলে বৃদ্ধি পায় ওজন।

 

০৩. ঘুমের স্বল্পতাঃ বিয়ের পরে নারীদের শুয়ার ভঙ্গি ও সময়ের অদলবদল হয়। রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে থাকার কারণে হজমের গোন্ডগোল দেখা দেয়। তাই শরীরে জমতে থাকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি।

 

০৪. মুখের রুচির পরিবর্তনঃ বিয়ের পর কখনো স্বামী আবার কখনো স্বামীর পরিবারের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে নারীর রুচি বদলে যায়। লাগাতার ভাবে আপস করতে গিয়ে নিজের প্রতি যত্নের ফাঁক থেকে যায়। নতুন পরিবেশের সাথে নতুন জীবনসঙ্গীর পছন্দের সাথে মিল রাখতে গিয়েও নিজের পছন্দের-অপছন্দের গুরুত্ব হারায়। যার ফলে শুরু হয় মেদবৃদ্ধি।

 

০৫. জাঙ্ক খাবারঃ বাড়ির তুলনায় রেস্তোরাঁ ও স্ন্যাক্সবারে খেতে বেশি পছন্দ করেন নববিবাহিত দম্পতিরা। অতিরিক্ত বাহিরের খাবার গ্রহণের ফলে দেহে দ্রুত চর্বি জমায়।

 

০৬. বয়সঃ বর্তমানে শহরের নারীদের গড়ে বিয়ের বয়স ২৮-৩০ বছর। ৩০ বছরের পরে নারী শরীরের বিপাক ক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়। যার ফলে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে।

 

০৭. টিভি দেখার নেশাঃ বিবাহের আগে যে নারী পড়াশোনা কিংবা অফিসের কাজের পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মশগুল থাকতো, দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের পর কর্মক্ষেত্রের কাজ সেরে দ্রুত বাড়ি ফিরতে সে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। স্বামীও কর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ পরিবারে সন্ধ্যায় বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে টিভি’র জোরালো ভূমিকা রাখে। টিভি’র সামনে ঘন্টার  পর ঘণ্টা বসে থাকলে চর্বি না বাড়াই অস্বাভাবিক।

 

০৮. সন্তান গর্ভধারণঃ প্রায়ই দম্পতি বিয়ের ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সন্তান প্রসবের পরে বেশির ভাগ নারী ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হন না। তাদের শরীরে গর্ভাবস্থার মেদ স্থায়ী আসন পেতে বসে