একজন করে শিশু অনলাইনে প্রবেশ করে, প্রতি আধা সেকেণ্ডে

একজন করে শিশু অনলাইনে প্রবেশ করে, প্রতি আধা সেকেণ্ডে

অনলাইনে শিশুদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন এক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বলা হয়েছে, প্রতি আধা সেকেণ্ডে একজন করে শিশু অনলাইনে প্রবেশ করে! এটি একদিকে যেমন ভালো দিক, অপরদিকে এটি চিন্তারও বিষয়।

এবার খবর বেরিয়েছে যে, প্রতি আধা সেকেণ্ডে একজন শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইন জগতে প্রবেশ করছে। যা গড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ মঙ্গলবার এই তথ্য দিয়েছে।

ইউনিসেফ সতর্ক করে জানিয়েছে যে, ডিজিটাল দুনিয়ায় শিশুদের এই প্রবেশ তাদের সামনে উপকার এবং সুযোগের বিশাল দ্বার উন্মোচন করছে। তবে সেইসঙ্গে তাদের ঝুঁকি এবং ক্ষতির মুখেও ফেলে। যার মধ্যে অন্যতম ক্ষতি হলো ক্ষতিকর কনটেন্ট, যৌন হয়রানি এবং শোষণ। সাইবার উৎপীড়ন ও তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারও রয়েছে এইসব ঝুঁকির মধ্যে।

ইউনিসেফের ডাটা রিসার্চ ও পলিসি বিভাগের পরিচালক লরেন্স চ্যান্ডি বলেছেন, প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইনে যুক্ত হচ্ছে, যা তাদের জন্য ব্যাপক বিপদের দ্বার উন্মুক্ত করছে। অথচ বিপদগুলো চিহ্নিত করার বদলে আমরা কেবল মূল্যায়ন করে যাচ্ছি। অনলাইনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝুঁকিগুলো দূর করার জন্য নীতিমালা প্রণয়নে সরকার এবং বেসরকারি খাতগুলো অবশ্য কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে শিশুদের অনলাইন জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে এবং তা সুরক্ষিত করার জন্য আরও ভালোভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

 

প্রতিবেদনটি স্পষ্ট করেছে যে, ডিজিটাল বিশ্বে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব সরকার, পরিবার, স্কুল এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের। এতে বলা হয়, শিশুদের ওপর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনতে বিশেষ করে প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ শিল্পে বেসরকারি খাতের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে। তবে এই দায়িত্ব কখনই যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। তাই তথ্য এবং গোপনীয়তার বিষয়ে নৈতিক মানসহ অনলাইনে শিশুদের উপকারে আসে ও তাদের সুরক্ষিত রাখে- এমন চর্চাগুলো বাড়াতে বেসরকারি খাতের শক্তি ও প্রভাবকে কাজে লাগাতে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।