সিভি/রিজিউম লেখার ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখবেন

সিভি/রিজিউম লেখার ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখবেন

প্রথম দর্শনেই প্রেম বলে একটা কথা আছে। আপনার সিভি দেখে আপনার চাকরিদাতা আপনার প্রেমে পড়ে যাবে না সেটা নিশ্চিত থাকুন। তবে ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরি করতে যে সাহায্য করবে সেটা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। সিভি বানানোর আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে জানবো আজ।

১. আপনার চাকরিজীবনের ধারাবাহিকতায় দেখা গেল ছয় মাস আপনি বেকার ছিলেন, এই ধরনের গ্যাপ প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ পছন্দ করে না। তাই সিভিতে এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন।

২. আপনি যে বিষয়ে পড়াশুনা করলেন কিংবা আপনার অভিজ্ঞতা কতটুকু ভাল সেগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং আপনার চাকরিদাতা দেখবে আপনার নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষমতা কতটুকু।

৩. আপনার ইমেইল ঠিকানার মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব অনেকটাই বোঝা যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে উদ্ভট কিংবা অশালীন অর্থ বহন করে এইরকম কোনও ইমেইল আইডি সিভিতে দেবেন না।

৪. আপনার বয়স যদি ৫০ কিংবা ৬০ হয়, কিংবা কোনও সিনিয়র পোস্টে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য সিভিতে দিতে যাবেন না।

 

৫. আপনার সিভিতে সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহার করবেন আপনার অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে। কারণ আপনার চাকরিদাতা এই অংশটিই সবচেয়ে খুটিয়ে পড়েন।

৬. যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন সে চাকরির সঙ্গে মিলিয়ে সিভি বানান। একই সিভি সব জায়গায় জমা দেবেন না।

৭. চাকরিজীবন শুরু করতে যাচ্ছেন? তাহলে সিভি বানাবেন এ ফোর সাইজের এক পাতায় আর সিনিয়র হলে দুই পাতায়। এর বেশী কখনোই নয়।