ধনী হতে পারবেন না আপনি কখনো, এই নয় স্বভাব থাকলে

ধনী হতে পারবেন না আপনি কখনো, এই নয় স্বভাব থাকলে

অনেকে বলেন টাকা রোজগার করা ভাগ্যের ব্যাপার। আবার কারও মতে, নিজের পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় থাকলে কোনও কঠিন কাজই অসম্ভব নয়। টাকা রোজগার আপনি করতেই পারেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ধনবান হওয়া।

 

আপনি রোজগার খারাপ করেন না। প্রতি মাসে সবকিছু করার পরও হাতে মোটা টাকা থাকার কথা। তবে সবমিলিয়ে কিছুতেই যেন টাকা থাকছে না। কোনওভাবেই টাকা জমিয়ে বিত্তবান হতে পারছেন না।

 

দিনের পর দিন কষ্ট করে উপার্জন করেও দিন আনি দিন খাই ভাব আপনার মধ্যে। কীভাবে এই দশা কাটিয়ে ছন্দে ফিরবে আপনার পকেট ও ব্যাঙ্ক ব্যালান্স? এজন্য নিজেকে নিয়ে ভাবুন। এই স্বভাবগুলো আপনার মধ্যে আছে কিনা। আপনার বিত্তবান হওয়ার পিছনে বড় বাধা এগুলো।

 

বিনিয়োগ : বেশ কিছুদিন রোজগার করা শুরু করলেও এখনও আপনি কোনও কিছুতে বিনিয়োগ করেননি।

 

কাজের বদলে টাকা : আপনি নিজের কাজটুকু করেই থেমে যান। তার ভিত্তিতে টাকা রোজগার করতে চান। আর যারা ধনী তারা জানেন কোথায় তৃকতটুকু খাটলে বেশি রোজগার হবে। সবকিছু বুঝে নিয়ে তবেই পা বাড়ান।

 

আয়ের গুরুত্ব : আপনি কীভাবে সঞ্চয় করবেন সেটা নিয়ে বেশি ভাবেন, কীভাবে রোজগার বাড়াবেন সেদিকে আপনার কোনও খেয়াল নেই।

জিনিস ক্রয় : আপনি সবসময় সস্তা থেকে দামী এমন জিনিস কিনে বাড়ি ভর্তি করেন যা রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা আপনার নেই।

 

গণ্ডীর বাইরে না বেরনো : নিজে যেখানে স্বচ্ছন্দ সেই কাজই করে যাচ্ছেন, নিজের গণ্ডীর বাইরে বেরিয়ে ঝুঁকি নিতে আপনি রাজি নন। এমন করলে আর যাই হোক বড়লোক হতে পারবেন না।

 

স্বপ্নপূরণ : পরিবারের অন্যদের স্বপ্নপূরণ অবশ্যই করবেন তবে তার মানে এটা নয় যে নিজের স্বপ্নকে আত্মাহুতি দেবেন। নিজের স্বপ্নকে বলিদান করলে জীবনে টাকা ও সুখ কোনওটাই পাবেন না।

 

খরচের হাত : আপনি কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই খরচ করেন। এর পাশাপাশি যতটুকু আপনার সঞ্চয় করা উচিত তা না করে আগে খরচ করেন এবং পরে যদি কিছু বাঁচে তাহলে তা সঞ্চয় করেন।

 

আপনার লক্ষ্: আপনি কীভাবে, কতোটা উপার্জন করতে পারেন, সেই বিষয় আপনার কোনও ধারণা বা লক্ষ্য নেই।

 

আপনার মনোভাব: আপনি মনে মনে প্রথম থেকেই বিশ্বাস করেন যে জীবনে যাই হোক, কখনও ধনী হতে পারবেন না আপনি। আপনার এই মনোভাব আপনার ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা।