১ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের জয়, শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান এর

১ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের জয়, শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান এর

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ উইকেটে জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেলো বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। নির্ধারিত ওভারে ১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।

 

শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। টান টান উত্তেজনা। দ্বিতীয় বলে রানআউট হয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্ট্রাইকে থাকার কথা মাহমুদুল্লাহর। কিন্তু আম্পায়ার তাকে স্ট্রাইকে দেবেন। এ নিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাহমুদুল্লাহ আর রুবেলকে উঠে আসতে বললেন।

 

আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারিসহ অন্য কর্মকর্তারা থামালেন। স্ট্রাইকে থাকলেন মাহমুদুল্লাহই। তৃতীয় বলেই মারলেন বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে দুই রান। আর প্রয়োজন

 

৬ রান। পঞ্চম বলে ইসুরু আদানাকে ছক্কা মেরেই বাংলাদেশকে ২ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

 

ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ৭০তম জাতীয় দিবসের টুর্নামেন্ট নিদাহাস ট্রফির ১৮ মার্চের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

 

শনিবার ম্যাচের পরতে পরতে রং বদলায়। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে শুরুতে ৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে খেলায় ফেরান তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।তৃতীয় উইকেটে তারা ৬৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকেজয়ের স্বপ্নও দেখান।

 

এরপর ১২ রানের ব্যবাধানে সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার আউট হলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি সাকিব আল হাসানও।

 

৪২ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় ৫০ রান তুলে নিতেই বিপদে পড়ে যান তামিম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিতেই গুনাথিলাকার বলে বিভ্রান্ত হন দেশ সেরা এই ওপেনার।

 

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ধনঞ্জয়া ২টি, আপোন্সো, গুনাথিলাকা, মেন্ডিস ও উদানা প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

 

এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। দলীয় ১৫ রানেই লঙ্কান ওপেনার গুণাথিলাকে সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়ে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ৪৮ দিন পর মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসান।

 

এরপর বোলিংয়ে পরিবর্তন করে মুস্তাফিজ এনেই সাফল্য পান সাকিব। দলীয় ২২ রানে কুশল মেন্ডিসকে সৌম্যর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মুস্তাফিজ। দলীয় ৩১ রানে ক্রিজে সেট হওয়ার আগেই মিরাজ ও মুস্তাফিজ মিলে রান আউট করেন থারাঙ্গাকে।

 

পরের ওভারে এসে আবার আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। এবার কোন রান করার আগেই উইকেটের পিছনে মুশফিককে ক্যাচ দেন শানাকা। এরপর দলীয় ৪১ রানে জীবন মেন্ডিসকে মুস্তাফিজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মিরাজ। এরপর শুধু দুই পেরেরার ব্যাটিং শো। উভয়ে মিলে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দলীয় ১৩৮ রানে কুশল পেরেরাকে সৌম্য সরকার ফেরালেও ৪০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৬১ রানের ইনিংস খেলে যান।

শেষ ওভারে থিসারা পেরেরাকে তামিম ইকবালের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রুবেল। তার আগে থিসারা পেরেরাও ৩৭ বলে ৩ ছয় ও ৩ চারের সাহায্যে ৫৮ রানের একটি টর্নেডো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ১৬০ রানের লক্ষ দাঁড় করায় লঙ্কানরা।

 

বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ ২টি, সাকিব, রুবেল, মিরাজ ও সৌম্য ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।