খালেদার জামিন শুনানি শেষ, আদেশ আগামীকাল সোমবার

খালেদার জামিন শুনানি শেষ, আদেশ আগামীকাল সোমবার

এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেছে আপিল বিভাগ।

 

রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।

 

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

 

এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে জামিনের শুনানি শুরু হয়। মাঝে আধা ঘণ্টার বিরতি দেয়া হয়। পরে শুনানি শেষ আদালত আদেশের জন্য সোমবারের দিন ধার্য করেন।

 

খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া বিচারিক আদালত। ওইদিন থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।

 

২০ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। আপিল আবেদনে বিচারিক আদালতের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়।

 

২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া জরিমানার আদেশও স্থগিত করা হয়। আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য রাখেন আদালত।

 

এছাড়া মামলাটিতে বিচারিক আদালতের নথি তলব করে ১৫ দিনের মধ্যে তা হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

 

২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে আদালত বলেছিলেন বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেবেন। ১২ মার্চ শুনানি শেষে চার মাসের জামিন আদেশ দেয় আদালত।

 

খালেদার জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে পরদিন চেম্বার বিচারপতি কাছে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। চেম্বার বিপারপতি কোনো আদেশ না দিয়ে এটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

 

১৪ মার্চ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের শুনানি নিয়ে আদালত তাদের লিভ টু আপিল দায়ের করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ১৮ মার্চ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে ওইদিন লিভ টু আপিলের শুনানির দিন ধার্য করেন।