যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনে দিতে হবে ফেসবুক-টুইটারের তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনে দিতে হবে ফেসবুক-টুইটারের তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য সামনের দিনগুলোতে আবেদনকারীকে ফেসবুক-টুইটারে তার সব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এমন উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

আবেদনকারী গত ৫ বছরে যত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন তার সবগুলো যাচাই করে ভিসা দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। সাধারণ এবং অভিবাসী, দু ধরণের ভিসার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া অনুসরন করা হবে।

শুধু ফেসবুক টুইটার নয়, ভিসা আবেদনকারী গত ৫ বছরে যেসব ইমেইল অ্যাকাউন্ট ও ফোন নাম্বার ব্যবহার করেছেন, যত জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন, তার সবকিছুর ফিরিস্তি দিতে হবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে।

কোন দেশ থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন কিনা, অথবা কোন আত্মীয় স্বজন সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত কিনা তারও বিবরণ দিতে হবে।

তবে যেসব দেশের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন( ব্রিটেইন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি), তারা এই নিয়মের মধ্যে পড়বেন না। তবে

গত বছর মে মাসে প্রণীত নীতি আনুসারে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মীরা কেবল সন্দেহ হলেই আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গতিবিধি খতিয়ে দেখতেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি বাক স্বাধীনতার প্রতি চরম আঘাত। লঙ্ঘিত হবে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়নের হিনা শামসি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন সবসময় শঙ্কায় থাকবে, এই কথাটা বলা ঠিক হবে কিনা; মার্কিন কর্তৃপক্ষ কি এটাকে ভালোভাবে নেবে?

ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা বলা হয়েছে, তা শুধু ফেসবুক টুইটারেই সীমাবদ্ধ নয়। ইন্সটাগ্রাম, লিংকডইন, রেডিট আর ইউটিউবও পড়বে এই নজরদারির আওতায়। এমনকি চীনের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট সিনা ওয়েইবো, আর রাশিয়ার ভিকে ব্যবহারকারীদেরও খবর নিতে চায় ওয়াশিংটন।