কৃমি তাড়াবার ঘরোয়া পদ্ধতি

কৃমি তাড়াবার ঘরোয়া পদ্ধতি

দিন-রাত শুধুই অস্বস্তি। কোন কিছুতেই মনোসংযোগ করতে পারছেন না। অস্বস্তিকর এই সমস্যার নাম কৃমি! গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল নালীর মধ্যে বসবাসকারী একটি পরজীবী। শরীরের মধ্যে কৃমি থাকলে কী সমস্যায় পড়তে হয় তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। সাধারণ কৃমি দূর করার জন্য কৃমিনাশক ওষুধের সাহায্য নিতেই হয়।

তবে, ঘরোয়া কয়েকটি উপায়েও এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কী ভাবে? জেনে নিন—

রসুন: রসুন অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুনের অ্যামাইনো অ্যাসিড পেটের কৃমি মেরে ফেলে। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দু’কোয়া রসুন খান। আধ কাপ জলে দু’টি রসুনের কোয়া দিয়ে সিদ্ধ করে এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেও উপকার পাবেন।

নারকেল: কৃমি দূর করতে নারকেল বেশ কার্যকরী। প্রতি দিন সকালে এক টেবল-চামচ নারকেল কুচি খান। ৩ ঘণ্টা পর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দুই টেবল-চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খান।

লবঙ্গ: প্রতি দিন ১-২টি লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমি নষ্ট করে।

মিষ্টি কুমড়োর বীজ: দুই টেবল-চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়ো তিন কাপ জলে আধ ঘণ্টা সিদ্ধ করুন। সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খান। এ ছাড়া এক টেবল-চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়োর সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।

গাজর: একটি গাজর কুচি করে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। গাজরের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

হলুদ: এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। এ ছাড়া হাফ কাপ গরম জলে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান। পাঁচ দিন নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

অ্যাপল সিডার ভিনিগার: খাওয়ার আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যা শরীরে প্যারাসাইট ও জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।

আনারস: আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলিন এনজাইম। যা প্যারাসাইট মারতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে টানা তিন-চার দিন শুধু আনারস খেয়ে থাকলে কৃমি সম্পূর্ণ সারানো যায়।