আইসিসি নতুন নিয়ম ঘোষণা করে টেস্টে

আইসিসি নতুন নিয়ম ঘোষণা করে টেস্টে

দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধে চারদিনের টেস্ট ম্যাচে সম্মতি দেয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। পোর্ট এলিজাবেথে মঙ্গলবার শুর হতে যাওয়া বক্সিং ডে টেস্টের জন্য অবশ্য বেশ কিছু নতুন নিয়ম বেঁধে দিয়েছে আইসিসি।

আধুনিক ক্রিকেটে এর আগে কখনোই চারদিনের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্ট এবার সেই পথ উন্মোচন করে দিল। আসন্ন টেস্টের জন্য আইসিসির বেঁধে দেয়া নতুন নিয়মগুলো হলো-

পাঁচদিনের টেস্টের প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে খেলা হয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার চারদিনের টেস্টের প্রতিদিন খেলা হবে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করে। অর্থাৎ, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে খেলা বেশি মাঠে গড়াবে।

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রতিদিন ৯৮ ওভার করে খেলা হবে। সাধারণত পাঁচদিনের টেস্টে ৯০ ওভারের খেলা হয়। তবে চারদিনের টেস্টটিতে ৮ ওভার করে বেশি খেলা হবে। মূলত প্রতিদিন বাড়তি ৩০ মিনিট সেজন্যই বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।

টেস্টের প্রথম দুই সেশনের প্রতিটিতে ২ ঘণ্টা নয়; বরং ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট খেলা হবে। প্রথম সেশনের পর ২০ মিনিটের চা বিরতি চলবে। দ্বিতীয় সেশনের পর ডিনারের জন্য ৪০ মিনিটের বিরতি থাকবে। তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা চলবে দুই ঘণ্টা।

পাঁচদিনের টেস্টে কোনো দল বিপক্ষে দলের চেয়ে ২০০ রান কম করলে ফলোঅনে পড়তে হয়। তবে চারদিনের টেস্টে কোনো দলস প্রতিপক্ষের চেয়ে ১৫০ রান কম করলে ফলোঅনে পড়বে।

খেলা স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে; দিবারাত্রির টেস্টের সাধারণ সময়ের ৩০ মিনিট পূর্বে। পোর্ট এলিজাবেথে টেস্টের চারদিন আনুমানিক ৭.৩০ মিনিট থেকে ৭.৩১ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে। সেই হিসেবে সূর্যাস্তের পরও দেড় ঘণ্টা খেলা চলবে।

১৯৭২/৭৩ মৌসুমের পর এবারই প্রথমবারের মতো চারদিনের টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে যাচ্ছে। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমের আগ পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ তিন থেকে ছয়দিনের ছিল। এমনকি এক সময় অনির্ধারিত দিন ধরেও চলতো টেস্ট ম্যাচ। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে সর্বশেষ ‘টাইমলেস’ টেস্ট দেখে ক্রিকেটবিশ্ব। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবারে জয়ের পথে থাকা ইংল্যান্ড জাহাজ ধরার জন্য মাঝপথেই খেলা ড্র মেনে বাড়ি ফিরে যায়। বিশ্রামের দুই দিন ছাড়াও সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড ১০ দিন লড়াই করে।

বলে রাখা ভালো, ২০০৫-০৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্ব একাদশের মধ্যকার টেস্টটি ছয়দিনের ছিল। যদিও সেই টেস্টটি চারদিনেই শেষ হয়ে যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচটি অষ্টম দিবারাত্রির টেস্ট। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। আগের সাতটি দিবারাত্রির টেস্টের চারটিই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়।