নীল টিপ পরা সেই মেয়েটি, সবুজ রঙের ওড়নাটি গলায় পেঁচানো, হাতে লাল রঙের ভ্যানিটি ব্যাগ

নীল টিপ পরা সেই মেয়েটি, সবুজ রঙের ওড়নাটি গলায় পেঁচানো, হাতে লাল রঙের ভ্যানিটি ব্যাগ

মেয়েটার কপালে গোলাকার নীল টিপ। পরনে সবুজ রঙের কামিজ। সবুজ কামিজের প্রান্তে নীল কাপড়ের সেড ড্রেসটির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সবুজ রঙের ওড়নাটি গলায় পেঁচানো। হাতে লাল রঙের ভ্যানিটি ব্যাগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মোড়ে বান্ধবীদের সাথে দাঁড়িয়ে গল্প করছে। গল্প করছে আর হাসছে। নির্ভেজাল, ন্যাসারাল হাসি। হাসার সময় গালে টোল পড়ছে। সবার থেকে লম্বা মেয়েটি। এক হারা গড়ন। উচ্ছল, চঞ্চল, হাস্যোজ্জ্বলমেয়েটি অসাধারণ স্মার্ট । হঠাৎ বৃষ্টি নামল। বান্ধবীরা পাশের একটি ছাউনীতে গেল। মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। দুই হাত মেলে বৃষ্টি ধরছে। শ্রাবণের বৃষ্টির ফোঁটার সাথে আলীঙ্গন করছে। হালকা বৃষ্টি। মাথার উপরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা ওর কোঁকড়ানো চুল বেয়ে শরীরে চুইয়ে পড়ছে। চোখের পাতায় জমা ছোট ছোট বৃষ্টি সূর্যের আলোতে চিক চিক করছে। গোলগাল মুখে জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটাগুলো সূর্যের আলোয় মুক্তোর দানার ন্যায় জ্বল জ্বল করছে। বৃষ্টির কণা আর সূর্যের আলোর প্রলেপ ওর মুখাবয়বকে এক অসাধারণ শৈল্পিক রুপ দিয়েছে। মনে হচ্ছে প্রকৃতির পার্লারে সাজতেই দাঁড়িয়ে ছিল মেয়েটি। সময়ের সাথে সাথে বৃষ্টি পড়ার গতি বৃদ্ধি গেল। ভারী বৃষ্টিতে কোঁকড়ানো চুলগুলো অনেকটা সোজা হয়ে পিঠের সাথে মিছে গেছে। মেয়েটিকে বান্ধবীরা ডাকছে-তন্দ্রিমা বৃষ্টিতে আর ভিজিসনা, জ্বর আসবে । বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে হাসছে তন্দ্রিমা। অসাধারণ সুন্দর হাসি। হাসলে কাউকে এতো সুন্দর দেখায় তা মেয়েটিকে না দেখলে বোঝা যাবে না। ছাতা মাথায় পথচারী হাঁটছে। সবাই এক পলক মেয়েটিকে দেখছে। মেয়েটিকে কাছ থেকে দেখতে অর্ণব ছাতা ফুঁটিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেয়েটির পাশে গিয়ে দাঁড়াল। মেয়েটির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল । অর্ণবের চোখে চোখ পড়তেই মেয়েটির মুখে যেন অমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসল। অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটা রিক্সাকে ইশারায় ডাকল। আমি চললাম, তোরা আয় রে বলেই তড়িঘড়ি রিক্সায় উঠল । মেয়েটির হাতের ধাক্কায় রিক্সাওয়ালা প্যাডেল ঘোরাতে শুরু করল। রিক্সার হুডের পেছনের অংশ খোলা ছিল। অর্ণব রিক্সার পেছন থেকে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইল। কয়েক মিনিটের মধ্যে রাস্তার বাঁকে হারিয়ে গেল মেয়েটি।

অর্ণব ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ফার্মগেট শাখায় চাকরী করে। অফিস ছুটির পরে অর্ণব সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন টিএসসি ঘুরে বাসায় ফেরে। উদ্দেশ্য- নিল টিপ পরা মেয়েটিকে এক নজর দেখা। অধিকাংশ দিনই টিএসসিতে মেয়েটির সাক্ষাত মিলত। মেয়েটির অনিহায় অর্ণবের সাথে তন্দ্রিমার খুব একটা কথা হয়নি। শেষ দেখা হয়েছিল গত বছর মার্চের ১৫ তারিখ। এরপর থেকে আর টিএসসিতে দেখা যায়নি ওকে। অর্ণব খোঁজ নিয়ে জেনেছে এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে তন্দ্রিমার মাষ্টার্সের রেজাল্ট হয়েছে। এর কয়েক দিন পরেই ওর বাবা মারা যায়। তন্দ্রিমা সবার বড়। তাই সংসারের দায়িত্ব পালন করতে সম্প্রতি একটা বেসরকারী ব্যাংকে চাকরী নিয়েছে । তবে কোথায়, কোন ব্যাংকে -তা জানতে পারেনি।

আজ ১৬ শ্রাবন। প্রথম দেখার দিন। পড়ন্ত দুপুরে দক্ষিণা বাতসে ঘরের ঝুল বারান্দায় বসে আছে অর্ণব। আকাশের দিকে চেয়ে সাদা মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি খেলা দেখছে। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামল। মেয়েটিকে প্রথম দেখার সেই মুহুর্তগুলো চোখের পাতায় ভেসে উঠলো । অর্ণব রঙ তুলি নিয়ে পুরোদস্তুর শিল্পির ন্যায় ছবি আঁকতে বসল। একান্ত নিবিষ্ট মনে ছবি আঁকছে অর্ণব। ছবি আঁকায় যথেষ্ঠ দক্ষতা আছে ওর। অর্ণবের এক জ্ঞাতি সর্ম্পকীয় কাকা ওদের বাসায় থেকেই চারুকলা ইন্সটিটিউটে পড়তো। ওই কাকাই ওকে সুন্দর করে ছবি আঁকা শিখিয়েছে। ছবি আঁকা প্রায় শেষের পথে, কপালের টিপটির রঙ করলেই শেষ হয়ে যায়। অর্ণবের ছোট বোন রুনু ওর রুম থেকে ভাইয়ের ছবি আঁকা দেখছিল। অনেকদিন পর ভাইয়াকে ছবি আঁকতে দেখে ওর বেশ কৌতুহল হল। নিঃশব্দে চুপি চুপি, বিড়াল পদে অর্ণবের পাশে এসে বসল। একটা মেয়ের ছবি। পরিচিত কেউ কিনা মিলিয়ে দেখছে রুনু। এরমধ্যে কপালের টিপটির রঙও সম্পন্ন করেছে অর্ণব। অনেকক্ষন চুপচাপ বসে আছে রুনু। আর মুখ বুজে থাকতে পারলো না। বলে উঠল ‘যাক বাবা এবার হয়তো মায়ের ইচ্ছাটা পূরণ হবে। অর্ণবকে হালকা ধাক্কা দিয়ে রুনু বলে, ভাইয়া অসাধারণ মেয়ে। ন্যাচারাল স্মাইলিং । আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ভাইয়া নিল টিপটাতে ওকে অসাধারন দেখাচ্ছে। ভাইয়া যাই মাকে খবরটা দিই।’ এক কথাগুলো বলেই এক দৌঁড়ে মায়ের ঘরে চলে গেল। উৎফুল্ল রুনু মাকে এক প্রকার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসলো। ততক্ষণে আঁকা আঁকির সব সরঞ্জাম ব্যাগে ভরে ফেলেছে অর্ণব। মা অর্ণবের দিকে তাকিয়ে বলল, “বাবা মেয়েটি কে? মেয়েটি কি তোমার পছন্দ? আমাকে আগে বলনি কেন?” মায়ের একের এক প্রশ্নে লজ্জা ও রাগ দু’টিই হচ্ছে অর্ণবের। রুনুর কারণে এমন পরিস্থিতিতে শিকার হতে হলো ওকে। অর্ণব রুনুর দিকে তাকিয়ে চোখের ভাষায় শাঁসাল। আমি আবার কি করলাম, ভ্রু কুঁচকে বলল রুনু। অর্ণব ওর দিকে চেয়ে চোখ মোটা করতেই রুনু দ্রুত স্থান ত্যাগ করল ।

অনেক দিন পর লামিয়ার ফোন।“তন্দ্রিমা কেমন আছিস? নতুন অফিসে নতুন সহকর্মীদের সাথে কেমন কাটছে? কোন সমস্যা হচ্ছে নাতো? ”“আরে না। তোর ছৌঁয়ায় বদলে যাওয়া তন্দ্রিমা এখন সব সমস্যাকে সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। ” “লামিয়া শোন্ কাজের চাপেতো তোকে বলাই হয়নি। অফিসে আমার পাশের চেয়ারে উনি বসেন।” এ প্রান্ত থেকে বলল তন্দ্রিমা। অপর প্রান্ত থেকে লামিয় আগ্রহের সাথে জানতে চাইল, “উনি কে রে?” “আরে যিনি আমাদের সাক্ষাত পেতে প্রায় টিএসসিতে আসতেন।” “ও আচ্ছা বুঝেছি। পরিচয় হয়েছে নাকি? ”“হ্যাঁ ইশরাত সুলতানা নামে পরিচয় হয়েছে।” লাইন কাটিস না অনেক কথা আছে। তন্দ্রিমা বলে চলে-“একদিন ওর ছোট বোন রুনু অফিসে এসেছিল। ওর কাছ থেকে জেনেছি নীল টিপ পরা মেয়েটির কথা। ও নাকি এখনও আমাকে খুঁজে ফিরছে। প্রায় নাকি টিএসসি হয়ে বাসায় ফেরে। রুনুর কথার সত্যতা যাচাইয়ে একদিন পিছু নিয়েছিলাম। ওর বোনের কথা আসলে সত্যি। টিএসসির তন্দ্রিমাকে অর্ণব খুব ভালোবাসে অথচ পাশের তন্দ্রিমার দিকে ফিরেও তাকায় না। প্রয়োজন ছাড়া কথাও বলে না।” একটু নরম গলায় তন্দ্রিমা বলে, তুই ব্যস্ত না থাকলে—। “আরে বলে যা ব্যস্ততা সব ছিঁকেই তুলে রাখলাম, বলল লামিয়া। তন্দ্রিমা বলে, ওর ছোট বোন রুনুকে সেদিন অফিসে লাঞ্চ করিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়ার ফাঁকে ওর কাছে জানতে পারলাম টিএসসিতে দেখা নীল টিপ পরা তন্দ্রিমা নামের এক মেয়েকে ওর ভাই খুব ভালোবাসে। ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না বলে মনস্থির করেছে। ভাইয়ের এমন সিদ্ধান্তের কারণে তার মা নাকি অনেকটা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। বোরখা পরে থাকায় মি.অর্ণব তার খুঁজে ফেরা তন্দ্রিমাকে এখনও চিনতে পারেনি। সত্যি বোরখা একটা মেয়েকে কতটা নিরাপদ রাখতে পারে তা তোর ছোঁয়া না পেলে বুঝতে পারতাম না। জানিস অফিসের কলিগরা আমাকে যথেষ্ঠ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। সব কিছুই তোর জন্য সম্ভব হয়েছে।” লামিয়া বলল, “সবই আল্লাহর তরফ থেকে হয়। আল্লাহ তোকে কবুল করেছে। তাই সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ তোর মঙ্গল করুন। আজ রেখে দিচ্ছি পরে আবার কথা হবে।”

ব্যাংক ছুটি পর বেরুনোর সময় ম্যানেজার অর্নবকে ডাকল । অর্ণব রাত ৯টার দিকে আমার বাসায় চলে এস। তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখতে যাব। গতকাল তোমার মা বাসায় এসেছিলেন। কাল রাতেই আমি তোমার মা, রুনু ও তোমার কাকী মেয়েটিকে দেখে এসেছি। আমাদের পছন্দ হয়েছে। একটু থেমে রশিদ সাহেব বলেন, তোমার বাবা আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। বন্ধু বেঁচে নেই। ওর অবর্তমানে তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব কর্তব্য আছে। আমি তোমার সম্পর্কে সবকিছু আমি জানি। সব কিছু যেন শুনেই তোমাকে ওখানে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। মাস ছয়েক আগে মেয়েটির বাবা মারা গেছে। ফ্যামিলি স্ট্যাটাসও ভালো। সার্ভিস করা মেয়ে। আশাকরি তোমার অপছন্দ হবে না। অর্ণবকে কোন সুযোগ না দিয়েই একনাগাড়ে কথাগুলো বললেন ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদ।

অর্ণব বাসায় ফিরে কাপড় না ছেড়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল। গতকাল মা ও ম্যানেজার আঙ্কেল মিলে বিয়ের ব্যপারে অনেক দূর এগিয়েছে-এটা বুঝতে বাকি রইল না । রশিদ সাহেবের কাছে অর্ণবদের পরিবার নানা কারণে ঋনী। বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের হাল ধরতে চাকরীর পিছনে অনেক ছুটেছিল অর্ণব। চাকরী জোটাতে পারেনি। মায়ের অনুরোধে রশিদ সাহেবের প্রচেষ্টায় ব্যাংকে চাকরী হয় তার। বন্ধুর ছেলে বলে নিজের ব্রাঞ্চে পোষ্টিংও করিয়েছে। রশিদ আঙ্কল বলেছেন, “মেয়ে দেখতে যেতে হবে।” যদি নাও যেতে চাই তবু ধরে নিয়ে যাবে। অর্ণব ভাবছে মেয়ে সুন্দর হলে তো তাকে অসুন্দর বলা যাবেনা। রশিদ আঙ্কেলকে যতটুকু চিনি তাতে এটুকু বলতে পারি- মেয়ে দেখতে খারাপনা শুধু এ কথা বললেই, বিয়ের দিনক্ষণ পাকাপাকি করে ফেলবেন। বেশি কিছু ভাবতে পারছেনা অর্ণব। তন্দ্রিমা ওর হৃদয় জুড়ে। এ হৃদয়ে অন্য কারো স্থান হতে পারেনা। নানা রকম ভাবনায় রাত প্রায় ৯ টা বেজে গেছে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠল। অর্ণব ফোনটা হাতে নিল। রশিদ সাহেবের ফোন। রিসিভ করে বলল, আঙ্কেল আমি ঠিক সময়ই এসে যাব। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে তড়িঘড়ি গুছিয়ে নিল। রাত ৯টা ২০ মিনিটের সময় ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদের বাসায় পৌঁছাল অর্ণব। রশিদ সাহেব গাড়ি নিয়ে রেডি। রুনু আগে থেকেই গাড়িতে বসে ছিল। স্যারের সামনে বকতেও পারছে না। নীরবে সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই। অর্নব সুবোধ বালকের মতো ম্যানেজারের গাড়িতে উঠে রওয়ানা হল। রাত ১০টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী মেয়েটির বাসায় পৌঁছাল। একটি মেয়ে রুমের দরজা খুলে দিয়ে ড্রয়ই রুমে বসতে দিল। রুমের দরজা খুলে দেওয়া মেয়েটিকে অর্ণবের বেশ পরিচিত মনে হল। মেয়ের মামা নানা রকম খাবারে আন্তরিকতার সাথে আপ্যায়ন করালেন।

“রুনুটা এসেই ভিতরে ঢুকেছে। খাবারটাও আমাদের সাথে খেলনা। ওর অনেক বাড় হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো মেয়ে আনবে। বদমায়েশটা এসময়ও নেই। আজ বাড়ি যাই তারপর দেখাব মজা।” বিড়বিড় করে বলছিল অর্ণব। কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকটি মেয়েসহ মেয়েটি আসল। অর্ণব মাথা নিচু করে আছে। রুনু খোঁচা দিয়ে বললো ভাইয়া মাথা উচুঁ কর। কিছু জিজ্ঞাসা করবে না? অর্ণব মাথা তুলে দেখে সেই বান্ধবীদের কয়েকজন মেয়েটির পাশে। মেয়েটির কপালে নীল টিপ, সবুজ কামিজ, কামিজের প্রান্তজুড়ে নীল কাপড়ের সেড। প্রথম দেখা সেই পোষাকে। হতচকিত হল অর্ণব। স্বপ্ন দেখছি নাতো। হ্যালুসুলেশনে ভুগছিনাতো। চোখ মুছে ভালো করে দেখল। না সেই মেয়েটিই। ওরা নিজেরা কথা বলুক। চল সবাই ভেতওে যাই। ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদ সবাইকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। মেয়েটির সাথে থেকে গেল নেকাব পরা একটি মেয়ে। মেয়েটি অর্ণবকে উদ্দেশ্য করে বললো, এই সেই আপনার খুঁজে ফেরা তন্দ্রিমা। কর্মস্থলে আপনার পাশের চেয়ারেই বসে। বোরখা পরে থাকায় চিনতে পারেননি। মুচকি হেসে মেয়েটি আরো বলল, এখন থেকে আর টিএসসি ঘুরে বাসায় ফেরার দরকার নেই। আপনার ছোট বোন রুনুর কাছ থেকে তন্দ্রিমা সব জেনেছে। আপনাকে তন্দ্রিমা পছন্দ করে। একটু থেমে আবার বলে, তন্দ্রিমা অনেক ভালো মেয়ে। আশাকরি ওকে নিয়ে সুখে থাকবেন । মেয়েটির কথা শেষে অর্ণব উপরের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তন্দ্রিমার দিকে তাকাল। ওকে কি যেন বলতে চাইল । বেশ কিছু সময় কেটে গেল কিন্তু অর্ণবের মুখ দিয়ে একটি কথাও বের হলো না ।