পৃথিবীর অমীমাংসিত রহস্য 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল'

পৃথিবীর অমীমাংসিত রহস্য 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল'

পৃথিবীর রহস্যময় স্থানগুলোর তালিকা করা হলে সে তালিকায় প্রথম দিকে থাকবে এই নামটি। রহস্যময়, ভুতুড়ে, গোলমেলে, অপয়া, নির্জন, সব বিশেষণই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল জন্য আবশ্যিক। সমগ্র বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত রহস্যময় অঞ্চল হচ্ছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এলাকাটি আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ ত্রিভুজাকার অঞ্চল যেখানে বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহশজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে চিরদিনের জন্য। সত্যিকার অর্থে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল ভৌগলিক অবস্থান নির্দিষ্ট নয়।

১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ নেবার জন্য উড়তে উড়তে ভয়ঙ্কর বারমুডা ত্রায়াঙ্গেলের কাছে চলে যায় এবং কেন্দ্রে মেসেজ দেয়| যে তাঁরা সামনে আর কিছুই দেখতে পারছে না| যতদূর দৃষ্টি যাচ্ছে শুধুই কুয়াশা আর কুয়াশা। হারিয়ে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে তাঁদের শেষবাণী হচ্ছে, “আমাদের বাঁচাও উদ্ধার কর এখান থেকে আকাশের কুয়াশা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে”। এর পর তাদের আর কোন মাসেজ পাওয়া যায়নি আর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল ।

রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলাকালীন বারমুডার আকাশে আবারও অদৃশ্য হয়ে যায়|

১৯৫৯ সালের ১৭ জানুয়ারী স্টার এরইয়েল নামক একটি উড্ডয়নরত বিমান যেটি যাত্রা শুরু করেছিল লন্ডন থেকে জ্যামাইকা। কিন্তু ১৯৬৮ সালে যে মাসে হারিয়ে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ডুবোজাহাজটি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সব থেকে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করে।

মার্কিন নেভির সূত্র অনুযায়ী, গত ২০০ বছরে কমপক্ষে ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ ও ২০টি বিমান চিরতরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ঘটনার গভীর তদন্ত ও বিজ্ঞানসম্মত মত অনুযায়ী, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সমুদ্রের গভীরতা এতটাই বেশী যে এখানে কোন বিমান বা জাহাজ হারিয়ে গেলে বা বিধ্বস্ত হলে তাঁর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া খুবই অসাধ একটি ব্যাপার। তবে আধুনিক প্রযুক্তি চেষ্টার ত্রুটি না রেখে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে “সাটেলাইট”।