শীতে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবার গ্রহণে কেমন সচেতনতা দরকার

শীতে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবার গ্রহণে কেমন সচেতনতা দরকার

শীতকালেই সাধারণত বেশি অনুষ্ঠান, অত্মীয়দের বাড়ি বেড়ানো হয়। এ কারণে খাদ্যাভাস ও ব্যায়ামের সময়সূচির ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আসে।

এ বছরের শেষ পার্টি উদযাপন শেষে নতুন বছরে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া চাই। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ভিড়ে ওজন বাড়বে না অথবা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া হবে এটা খুবই কঠিন কাজ। তাই বলে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই।

আপনি চাইলেই এসব বিষয় মোকাবিলা করতে পারেন-

খাবারদাবারে নজর দেওয়া: পার্টি মানেই সুস্বাদু সব খাবারদাবারের আয়োজন। আর শীতকালে তো ঠান্ডা তাপমাত্রায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি ক্ষুধা অনুভূতি হয়। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব খাবার আরো বেশি লোভনীয় হয়, যা এড়িয়ে চলা মুশকিল। এ কারণে পার্টিতে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে, হালকা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা। প্রোটিনের মাত্রা কমাতে খাবার সব সময় ছোট প্লেট বাছাই করতে হবে। আপনার জন্য পরিবেশনের আগে খাবার টেবিলে একবার ঘুরে আসুন অথবা মেন্যুটি আগেই দেখে নিন।

সবসময় হাইড্রেটেড থাকা : খুব কম পার্টিই আছে যেখানে অ্যালকোহল পানীয়ের ব্যবস্থা থাকে না। এটা আপনার শরীরে শুধু ক্যালরি জমতে দেয় না। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও বাধা দেয়। শীতকালে শরীর কম ঘামে একারণে কম তৃষ্ণা পায়। ফলাফল শরীরও দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে নিয়মিত পানি পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত পার্টি: সব ধরনের পার্টিতে খাবারের মেন্যু হিসেবে জাঙ্কফুড থাকবেই। এগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তি ক্যালরির পাশাপাশি হজমজনিত ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। যথাসম্ভব রাত আটটার আগে ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শেষ করতে হবে।

ব্যায়াম করা: শীতের সকালে চাইলেও ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠা যায় না। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও সুখকর নয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে অনুপ্রাণিত হয়।

ঘরোয়া কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। বাড়ির মধ্যেই হাঁটাহাঁটি করা, ইয়োগা করা। শরীর চাঙ্গা হলে বাইরে হাঁটাহাঁটি, জগিং বা সাইক্লিং করা যেতে পারে।

খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখা : নিয়মিত আশঁযুক্ত ফলমূল যেমন- বেরিফল, আপেল, শিম, ডাল, নাশপাতি, সবুজ শাকসবজি এগুলো হজমে সহায়ক। আঁশযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং পরিমিত মাত্রায় ওজন বাড়ায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন : অতিরিক্ত খাওয়া, পানি কম পান করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যদি সাধারণ উপায়ে এ সমস্যা কোনোভাবেই সমাধান না হয় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এমন হার্বাল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। এগুলো হজমের পাশাপাশি এসিডিটি ও গ্যাস প্রতিরোধেও সহায়ক।