উইকিপিডিয়া ব্লক করে দিয়েছে তুরস্ক

উইকিপিডিয়া ব্লক করে দিয়েছে তুরস্ক

তুরস্কে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যাতে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াতে যেতে না পারে সেজন্যে এটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, ওয়েবসাইটটিতে যেতে চেষ্টা করলে সাথে সাথেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে সেখানে আর ঢোকা যাচ্ছে না।

প্রথমে পরিষ্কার করে জানা যায় নি কি কারণে এটা করা হয়েছে। কিন্তু পরে দেশটির তথ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারণে এরকম হচ্ছে। কিন্তু এর পেছনে কোনো কারণ দেখানো হয়নি।

কিন্তু দেশটিতে অন্যান্য ওয়েবসাইট ঠিকমতোই কাজ করছে।

টার্কি ব্লকস নামে একটি গ্রুপ বলছে, শনিবার সকাল থেকেই উইকিপিডিয়াতে যাওয়া যাচ্ছে না। তুর্কী কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে হচ্ছে।

টার্কি ব্লকস গ্রুপ এবং সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রশাসনিক আদেশকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আদালতের কাছ থেকে পূর্ণ অনুমোদন নিতে হবে।

এর আগে তুর্কী কর্তৃপক্ষ ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটারের মতো সাইট বেশ কয়েকবার ব্লক করেছে।

বড়ো ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এবং সন্ত্রাসী হামলার পরপরই এসব করা হয়েছে যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে বেশিরভাগ সময়েই এজন্যে এসব সাইটের ওপর অতিরিক্ত চাপকে দায়ী করা হয়েছে।

এর আগে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ওয়েবসাইটও বেশ কয়েকবার বন্ধ করে দেওয়ার হয়েছে তুরস্কে।

এবার উইকিপিডিয়ায় যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পর সোশাল মিডিয়াতে সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, উইকিপিডিয়াতে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পাতায় সমালোচনা আটকাতেই এটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর এক গণভোটে সামান্য ব্যবধানে জিতে গেছেন মি. এরদোয়ান কিন্তু এরপর থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে পড়েছে যে রাজনৈতিকভাবে দেশটি কতোটা বিভক্ত।

সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি গ্রুপ রিপোর্টার্স ওইদাউট বর্ডার্স সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে একটি তালিকা তৈরি করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে ১৮০টি দেশের মধ্যে তুরস্কের অবস্থান ১৫৫ নম্বরে।

উইকিপিডিয়ার ওপর আরো কিছু দেশেও এরকম বিধি নিষেধ আরো প করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া ও চীন।