ঘামের দুর্গন্ধ দুর করুন নিজেই

ঘামের দুর্গন্ধ দুর করুন নিজেই

ঘামের দুর্গন্ধের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিশ্রম করলে ঘাম হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ বেরুবে এটাও ঠিক না। বেশি ঘামলে দুর্গন্ধ হবে এ রকম ভাবা ভুল। ঘামের সঙ্গে ব্যাকটিরিয়া মিশলেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় এই ব্যাকটিরিয়াদের প্রকোপ বাড়ে। সবচেয়ে বেশি হয় অপরিষ্কার থাকলে। শরীরে জরুরি পুষ্টির অভাব হলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য, লিভারের অসুখের কারণেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। ডিওডোরেন্ট তো আছেই।

 

দুর্গন্ধ থেকে ঘরোয়া উপায়ে মুক্ত থাকা সম্ভব—

 

১. বেকিং সোডা ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঘাম জমতে দেয় না। পাশাপাশি ব্যাকটিরিয়াও মারে। এক চামচ বেকিং সোডা আর এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে বগল সহ যেসব জায়গায় ঘাম বেশি হয়, লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

 

২. অ্যাপল সিডার ভিনিগারের ব্যাকটিরিয়া নাশের শক্তি রয়েছে। তাতে তুলো ভিজিয়ে সকাল–রাতে দুবার বগলে লাগান। গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন।

 

৩. লেবুতে থাকে অ্যাসিড। এই অ্যাসিড ত্বকে ক্ষার–অম্লের পরিমাণ কমায়। ফলে ব্যাকটিরিয়া মরে যায়। কারণ এই ক্ষার–অম্লই ব্যাকটিরিয়ার মূল খাদ্য। বগলে লেবুর রস লাগান। ত্বক সংবেদনশীল হলে লেবুর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন।

 

৪. টি ট্রি অয়েলে ব্যাকটিরিয়া–রোধী উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি সংক্রমণ রোধ করতেও সাহায্য করে এই তেল। গোসলের পানিতে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। যে কোনও প্রসাধনীর দোকানে মিলবে টি ট্রি অয়েল।

 

৫. খোসা ছাড়িয়ে ৭ থেকে ৮টা টমেটোর পিউরি বানান। গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এই পানি গোসল করলে দুর্গন্ধ পালাবে।

 

৬. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের বিকল্প নেই। পতিদিন পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল করুন। যাতে কোনরকম ময়লা না থাকে। গোসলের সময় জীবানু নাশক সাবান ব্যবহার করুন। হাত-পা, বগল, গলার নিচ, প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখুন। পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখুন। অপরিষ্কার পোষাকে দুগন্ধাসহ বিভিন্ন চর্ম রোগ ছড়াতে পারে। দুই দিনের বেশি একই পোশাক পরা উচিৎ নয়। পরিষ্কার থাকলে ঘামের দুর্ঘন্ধ অনেকটা কম থাকে।