ফলের ব্যবহার রূপচর্চায়

 ফলের ব্যবহার রূপচর্চায়

আমাদের দেশে প্রতি মৌসুমে নানান ধরনের ফলের সমারোহ দেখা যায়। কিন্তু ফল শুধু খেলেই চলে না, ফলকে কাজে লাগাতে হবে আমাদের রূপচর্চার কাজেও। নানান্রকম ফল আমাদের ত্বকের নানান যত্নে কার্যকরী। তাই রূপচর্চায় ফলের জুড়ি নেই।

 

কলাঃ কলা এমন একটি ফল, যা আমাদের দেশে পার‍্য সারাবছরেই পাওয়া যায়। কলা এমন একটি ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট, যা সব ত্বকের জন্যই উপকারী। কোনধরনের ত্বকে তা অ্যালার্জির সৃষ্টি করে না। কলা কেটে তার সঙ্গে মধু, লেবুর রস ও দুধ মিশিয়ে মুখে, হাতে ও পায়ে লাগালে ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে। এবার চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্টের জন্য কলা পিষে নারকেল তেলের সাথে চুলে লাগালেও চুলের রুক্ষতা দূর হয়। অন্যদিকে পাকা কলার সাথে দুই চা-চামচ মধু ও এক চা-চামচ চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে, ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের কালো ছোপ দূর হবে।

 

তরমুজঃ ত্বকের সজিবতায় তরমুজের জুড়ি নেই। তরমুজ ব্লেন্ড করে কয়েক ফোঁটা মধু ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে বানানো স্ক্রাবে দিয়ে মুখ ত্বক ও শরীরে ঘষে পরিষ্কার করলে, সারাদিনের ধুলাবালি, ময়লা লোমকূপ থেকে বেরিয়ে আসবে। অথবা বাইরে থেকে ফিরে রোদে পোড়া অংশে তরমুজ ২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে ধুয়ে নিলে, রোদে পোড়াভাব দূর হয়। এছাড়াও তরমুজের রস বরফ করে ডিপে রেখে প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখে ঘষে নলে, ত্বক সজিব আর সুন্দর হয়।

 

পেঁপেঃ ত্বক কোমল আর উজ্জ্বল করতে পেঁপের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। আধা কাপ পাকা পেঁপে, ৪ টেবিল-চামচ নারকেলের দুধ এবং ১/৪ কাপ কর্নফ্লেক্স একটি পাত্রে চটকে নিয়ে মাস্ক তৈরি করে, হাত, মুখ গলায় ৫ মিনিট ম্যাসাজ করলে ত্বকের জন্য অনেক উপকার হয়। এছাড়াও আধা কাপ পাকা পেঁপে, ৪ টেবিল-চামচ কমলার রস, ৪ টেবিল-চামচ গাজরের রস এবং ১ চা-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়েও মাস্ক তৈরি করা যায়।

 

ডাবঃ চুলের জন্য নারকেল আর ত্বকের জন্য কচি ডাব অনেক উপকারী। প্রতিদিন দুটো ডাবের পানি পান করলে ত্বকের নমনীয়তা বাড়ে। সেই সাথে কচি ডাবের পানিতে মুখের দাগও দূর হয়ে যায়। প্রোটিন ডাবের পানিতে মুখ ধুলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।

 

আনারসঃ রূপচর্চায় আনারসের ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আনারস ত্বকের মৃত কোষ, ধুলাবালি ও তেল সহজেই দূর করে দেয়। আনারস, লেবু ও কমলার রস একসঙ্গে মিশিয়ে তারসাথে অল্প ময়দা মিশিয়ে মুখে গলায় লাগালে ত্বক ভালো পরিষ্কার হয়। তবে সেক্ষেত্রে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নতুবা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

 

বাঙ্গিঃ বাঙ্গি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে দারুণ কাজ করে। আর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এরসাথে টক দই মিশিয়ে ক্লিঞ্জার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও ত্বক পরিষ্কার ও ত্বকের ভাঁজ পড়া কমাতে বাঙ্গির শাঁস, মটর ডাল বাটা, ডিমের কুসুম, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক সজিব থাকবে।