রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কিভাবে? জেনে নিন ১০ উপায়

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কিভাবে? জেনে নিন ১০ উপায়

রাগের মাথায় আমরা অনেক কথাই বলি, অনেক কিছুই করে ফেলি, যা পরবর্তীতে আমাদের জন্য অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই রাগান্বিত অবস্থায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না। রাগ নিয়ন্ত্রণ করে মাথা ঠান্ডা রাখা জরুরি। আকস্মিক রাগ নিয়ন্ত্রণে নিচের বিষয়গুলো চর্চা করে দেখতে পারেন:

 

১) বলার আগে ভাবুন- রাগের মাথায় কোনও কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তারপরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। তাই কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। একটু ভাবুন।

 

২) মাথা ঠান্ডা হলে তবেই রাগের প্রকাশ করুন- যখন আপনি ভালোভাবে ভাবতে পারছেন, তখনই রাগ প্রকাশ করুন। বিরক্তি প্রকাশ করুন, কিন্তু যুদ্ধের মেজাজে নয়। যত রাগই হোক, অন্যকে অপমান করা কাজের কথা নয়।

 

৩)কিছু ব্যায়াম করুন- শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যদি দেখেন রাগের পারদ দ্রুত গতিতে বাড়ছে, তাহলে কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন।

 

৪ ) ছোট্ট একটা টাইমআউট নিন- টাইমআউট শুধু ছোটদের জন্য নয়। দিনের যে সময়টা ভয়ানক স্ট্রেসের, সে সময় নিজেকে কিছুটা বিরতি দিন। নিজের জন্য শান্ত কিছু সময় বিরক্তিকর অনেক কিছু থেকে মুক্তি দেয়। রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

৫) সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন- কি কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে, কিভাবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে মনোযোগী হন।

৬) নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে জানান- অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছ্ন্দ-অপছন্দ পরিস্কার করে জানান। নির্দিষ্ট করে আপনার চাহিদাটা জানান।

 

৭) রাগ পুষে রাখবেন না- ক্ষমা করতে শিখুন। মনের মধ্যে রাগ পুষে রেখে সবসময় খারাপ কথাই ভাবলে ক্ষতি আপনারই। নিজের এই একপেশে চিন্তায় ডুবে থাকলে ভাল কিছু ভাবার ক্ষমতাটাই চলে যায়। ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের ব্যবহার নিয়েও খুঁটিয়ে ভাবুন। সবাই সব সময় আপনার মতই ভাববে এতটাও আশা করা ঠিক নয়।

 

৮) টেনশন কমাতে হাসি-ঠাট্টার আশ্রয় নিন- টেনশন কমাতে হাসি ঠাট্টার জুড়ি মেলা ভার। তবে নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই ভাল।

 

৯) শান্ত হওয়ার কিছু নিয়ম প্র্যাকটিস করুন- যদি আপনার চড়া মেজাজে লাগাম পবাতে অসুবিধা হয়, তাহলে জোরে জোরে গভীর নিঃশ্বাস ফেলুন। মজার কোনও দৃশ্য ভাবুন। গান শুনুন, বই পড়ুন, আপনার যা যা করতে ভাল লাগে সে দিকে বেশি করে মনোযোগ দিন।

 

১০) প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ- যদি কোনও ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, যদি আপনার রাগ আপনার বা অন্যদের লাগাতার ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।