যে কারনে খাবারের তালিকায় একটি করে জলপাই রাখবেন

 যে কারনে খাবারের তালিকায় একটি করে জলপাই রাখবেন

এখন জলপাইয়ের মৌসুম। টক স্বাদের এ দেশি ফলটি অনেকের কাছেই প্রিয়। জলপাইয়ের টক, ঝাল, মিষ্টি আচার খেতে কে না ভালোবাসে!

 

জলপাই কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া যায় ভর্তা করে, টক রান্না করেও। সবুজ রঙের এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। তাই বছরের এ সময়ে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অন্তত একটি করে জলপাই রাখুন।

 

জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ত্বকের ক্যান্সারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ করে জলপাই।

 

জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। জলপাইয়ের মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি। রয়েছে ভিটামিন ই ও পলিফেনাল। যা কিনা অ্যাজমা ও বাত-ব্যাথা জনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল।

 

নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।

 

জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ঔষধের কাজ করে জলপাই। এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই।

 

জলপাই আয়রনের বড় উৎস। রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল। আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে।

 

নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। এই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, যা ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী।

 

জলপাইয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে।