গত ১০ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে, এবং এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০২৩ সালে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী ৫৫টি দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিয়েছেন, যা ২০১৩ সালের তুলনায় অনেক বেশি। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান কমে যাওয়ার, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাওয়ার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ প্রোগ্রামও অনেক শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত মান, গবেষণামুখী শিক্ষা, চাকরির নিশ্চয়তা, এবং উন্নত জীবনযাত্রা বিদেশে পড়াশোনার প্রধান আকর্ষণ হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, এবং জার্মানির মতো দেশগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের একটি বড় উদাহরণ।
তবে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এই প্রবণতা সত্ত্বেও দেশে ফেরার এবং সেখানে চাকরি ও সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে থাকার পর দেশে ফিরে আসেন না, যা দেশের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়। শিক্ষাবিদরা বলছেন, দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের অভাব এবং বাণিজ্যিকীকরণের কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশে শিক্ষার জন্য প্রবাহিত হচ্ছে, যদিও বিদেশে যাওয়ার জন্য উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারও সমান আগ্রহী।