মামলা শাকিবের বিরুদ্ধে : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ৭ দিনের মধ্যে

মামলা শাকিবের বিরুদ্ধে :  তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ৭ দিনের মধ্যে

শাকিবের বিরুদ্ধে মামলা- হবিগঞ্জে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে অটোরিকশা চালকের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে দাখিল না করায় আগামী ৭ কার্য দিবসের মাঝে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

একই সঙ্গে কেন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ডিবি পুলিশের ওসির কাছে। রবিবার মামলার ধার্য্যকৃত তারিখে বাদীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহান এই নির্দেশ দেন।

 

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় একাধিকবার বর্ধিত করা হয়। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেননি।

 

গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নির্ধারিত তারিখে শুনানী শেষে ১৫ কার্যদিবসের মাঝে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সাথে বিলম্বের কারণ দর্শাতেও বলা হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।

 

মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ডিবির এসআই ইকবাল বাহার। পরবর্তীতে ওসি শাহ আলম নিজেই নেন তদন্তের দায়িত্ব।

 

তিনি জানান, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মাঝেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর হবিগঞ্জের আদালতে ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন ইজাজুল মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালক।

 

এর আগে শাকিব ভক্তদের মোবাইল ফোনে অতিষ্ঠ হয়ে ইজাজুল গত ২৮ অক্টোবর বানিয়াচং থানায় রাজনীতি সিনেমার প্রযোজক আশফাক আহমেদ, পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

 

শাকিব খান ‘রাজনীতি’ ছবির এক দৃশ্যে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে যে গ্রামীনফোনের মোবাইল নাম্বারটি দেন সেটি কাকতালীয়ভাবে হবিগঞ্জর বানিয়াচং উপজলার যাত্রাপাশা গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে ইজাজুল মিয়ার মোবাইল নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়।

 

এ ঘটনাই ইজাজুল মিয়ার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন শাকিবভক্তদের ৭ থেকে ৮শ’ ফোন কল আসতে থাকে তার মোবাইল ফোনে।অপরিচিত মেয়েদের কাছ থেকে সারাদিন ফোন আসতে থাকায় স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত সন্দেহে তার স্ত্রী মিশু আক্তার ১৬ মাস বয়সী একমাত্র শিশু কন্যা ইমুকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান ।

 

অন্যদিকে, একের পর এক কল আসায় সিএসজির মালিক বাদল মিয়া ফোন করে সময় মতো ইজাজুলকে না পেয়ে তার সিএনজি অটোরিকশা চালকের চাকরি থেকে বাদ দেন। পরে বাধ্য হয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।