কম বয়সে চুল পড়ে এই অভ্যাসগুলোর কারনে

কম বয়সে চুল পড়ে এই অভ্যাসগুলোর কারনে

ঘাস ছাড়া মাঠ, পাতা ছাড়া গাছ ও চুল ছাড়া মাথা দেখতে খুব খারাপ লাগে সন্দেহ নেই।

বলা হয়, মানুষের প্রতিদিন গড়ে শ’খানেক মাথার চুল পড়ে। তবে এটা স্বাভাবিক। এতে অস্বাভাবিকত্ব কিছু নেই। তবে বেশি চুল উঠতে থাকলে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

খারাপ স্বাস্থ্য ও বদ অভ্যাসের ফলে অনেকেই কম বয়সে টাক মাথা হয়ে যান। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ধূমপান, মদ্যপান, ড্রাগ নেওয়া ইত্যাদির ফলে যেমন চুল পড়ার সমস্যা হয়, কারও ক্ষেত্রে আবার বংশের ধারা বা ক্লান্তি ও অবসাদ চুল ধরে রাখার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব ছাড়া আরো কিছু অভ্যাসের কারনে চুল পড়ে।

 

ভুল শ্যাম্পু নির্বাচন : ভুল শ্যাম্পু নির্বাচনের ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। চুলের গোড়া নড়বড়ে হলে হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ভেষজ শ্যাম্পু দুর্বল চুলের জন্য উপযোগী।

 

চুলে গরম পানি দেওয়া : চুলে গরম পানি কখনও দেওয়া উচিত নয়। এতে চুলের গোড়া শুকনো হয়ে যায় এ দেখতে বাজে লাগে। এছাড়া গরম পানি চুলের গোড়া নষ্ট করে ফেলে। ফলে কম বয়সেই টাক পড়ে যায়।

 

ক্ষারযুক্ত জল পানি : ক্ষার বেশি থাকলে তা চুলের ক্ষতি করে। চুলের গোড়ার চামড়ার ক্ষতি হয় ফলে বেশি করে চুল পড়তে থাকে। কম ক্ষারযুক্ত পানি চুলের জন্য উপযোগী।

 

নানা ধরনের ক্রিম : বাজারের নানা হেয়ার ক্রিম বা লোশন নিয়মিত ব্যবহার করলে তাতে লাভের চেয়ে চুলের ক্ষতি বেশি হয়।

 

সূর্যের আলো : যারা বেশি করে সূর্যের আলোয় থাকেন তাদের ক্ষেত্রে চুল খুব রুক্ষ হয় ও তাড়াতাড়ি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সূর্যের তাপে চুলের গোড়ায় থাকা আর্দ্রতা উবে যায় ফলে চুল শুষ্ক ও দুর্বল হয়ে পড়ে যায়।

 

ওষুধের ব্যবহার : অনেক সময়ে ওষুধের ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তারা বেশি করে চুল পড়ার সমস্য়ায় ভোগেন।

 

ক্লান্তির ফল : ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তার ফলে শরীর মারাত্মক চাপে পড়ে যায়। ক্লান্তির ফলে চুল পড়ার কথা বারবারই উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। ফলে মাথা ভরা চুল রাখতে গেলে ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে রাখতেই হবে।