কমবেশি সব মেয়েই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও লম্বা চুল পছন্দ করে। অনেক চুল দ্রুত লম্বা ও ঘন করতে অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকেন। এরপরও কোনো কাজে আসছে না। হতাশ না হয়ে এই কাজগুলো করতে পারেন। দেখবেন চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন:
মাথার চুলের বৃদ্ধিতে সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করা। এতে মাথার ত্বকে রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে। চুলের গোঁড়ায় দ্রুত পুষ্টি পৌঁছাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে চুলের গোড়ায় আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করার বিকল্প নেই।
ভেজা চুলে ম্যাসাজ:
গোসলের সময় ভেজা চুল খালি হাতে ম্যাসাজ করুন। ভালো ফলাফলের জন্য মাথার সামনে থেকে ম্যাসাজ করে ঘাড়ের দিকে নামিয়ে নিন।
চুল ছাঁটাই করা:
অনেকে চুল লম্বা করতে চুলের আগা কাটেন না। যদি আপনি সত্যিই চুল দ্রুত লম্বা করতে চান, তাহলে অবশ্যই চুলে মাঝেমাধ্যেই কাঁচি লাগাতে হবে। ৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুলের আগা এক ইঞ্চি করে কেটে ফেলতে হবে। এতে করে চুল দ্রুত লম্বা হবে।
সঠিক সাপ্লিমেন্টারি গ্রহণ করা:
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই পুষ্টি চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়। এরপরও পুষ্টির জন্য এক্সট্রা ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। এ কারণে সাপ্লিমেন্টারি গ্রহণ প্রয়োজন। সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ‘ই’ উপাদান চুলকে মজবুত করে এবং বায়োটিন চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
কন্ডিশনার ব্যবহার করা:
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে রূপবিশেষজ্ঞরা চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের কথা বলে থাকেন। শ্যাম্পু করার সময় ময়লার সঙ্গে ভঙ্গুর চুলগুলো পড়ে যায়। এতে চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে ভাব ফিরে পেতে কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয়। এ কারণে প্রতিবার চুল ধোয়ার পর চুলের সহনশীল কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
ঠান্ডা পানিতে চুল ধুতে হবে:
চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর অবশ্যই ঠান্ডা পানিতে চুল ভেজাতে হবে। এতে চুলের আর্দ্রতা হারানোর আশঙ্কা থাকে না। গরম পানিতে চুল ধোয়ার ফলে চুল রুক্ষ ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
হেয়ার স্টাইলিং সরঞ্জামাদি পরিহার করা:
চুলে স্ট্রেট করা, নিয়মিত কার্লি করার ফলে আপনার চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এগুলো চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। যতদূর সম্ভব এগুলো পরিহার করাই উচিত। একান্তই প্রয়োজন হলে হেয়ারস্টাইল করার সময় অবশ্যই তাপ সুরক্ষিত টুলস ব্যবহার করবেন।