বয়সে বড় মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে প্রবল সামাজিক আপত্তি থাকলেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কিন্তু এই সম্পর্ককে খারাপ চোখে দেখা হয় না। বিশেষ করে, রাজপরিবারগুলির মধ্যে বয়সে ৪-৫ বছরের বড় মহিলাদের সঙ্গে বিয়ে আকছার হয়েই থাকে। সেখানে মূল কথা আভিজাত্য, বয়স নয়।
তা ছাড়া, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলি, বিশেষ করে গুজরাতে, সাধারণের মধ্যেও বয়সে বড় মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ককে আর যাই হোক, নোংরা চোখে দেখা হয় না। গুজরাতে ‘দিয়াবাট্টু’ বলে
একটি সামাজিক প্রথা আছে। স্বামী মারা গেলে, তার ছোট বা বড় ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় স্ত্রীকে। কখনও ১০-১২ বছরের ছোট দেওরের সঙ্গেও বিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু এ তো গেল সামাজিক প্রথার কথা। যেখানে সে সব বাধ্যবাধকতা নেই, সেখানে চলে আসে আকর্ষণের প্রসঙ্গ। ঠিক কী কারণে একটু বেশি বয়সি মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হন ছেলেরা?
বিভিন্ন মনস্তাত্বিক গবেষণায় উঠে এসেছে নীচের কারণগুলি—
১) ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব বলছে, ছেলেরা সঙ্গিনীর মধ্যে মা-কে পেতে চায়। তাই স্বভাবতই বয়সে বড় মহিলাদের প্রতি আকর্ষণটা আসে।
২) পরিণত শরীরের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে অনেক ছেলে। তাই বিশেষ করে টিন-এজে ৫-৬ বছর, এমনকী ১০-১২ বছরের বড় মহিলাদের প্রতিও আকৃষ্ট হয় তারা।
৩) সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বয়সে ছোট হবে—এই যে প্রচলিত ধারা, তার বাইরে যাওয়ার প্রবণতা থেকেও অনেকে বয়সে বড় মেয়েদের প্রেমে পড়েন।
৪) শরীরের টানের পাশাপাশি ছেলেরা সব সময়ে সেই মেয়েদেরই সঙ্গিনী হিসেবে চায়, যাদের বুদ্ধি-বিবেচনা ভাল, যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে আবার প্রয়োজন মতো বিছানায় ছেলেদের ‘ইগো’-কে পুষ্ট করতে পারে। বয়সে ছোট মেয়েরা নিজেরাই প্যাম্পার্ড হতে চায় ছেলেদের কাছ থেকে, তাই খুব বেশি ইগো বুস্টিং করতে পারে না।
৫) অনেক সময়ে ছোটবেলায় যৌন নিগ্রহের শিকার হলে সেই অভিজ্ঞতার ছাপ পড়ে যায় যৌন চাহিদায়। পরবর্তীকালে বয়সে বড় কোনও মহিলার শরীরকেই তখন পেতে চায় ছেলেরা।
৬) বয়সে বড় কোনও মেয়েকে সঙ্গিনী হিসেবে পেলে অনেক ছেলেরই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাকে যৌনতৃপ্তি দিতে পারলে আত্মবিশ্বাস আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।
৭) পর্ন দেখার অভিজ্ঞতা থেকেও বয়সে বড় মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে যারা খুব বেশি ‘ম্যাচিওর’ পর্ন দেখে, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি।