এই গরমে পরম বন্ধু হয়ে আছে বাসার রেফ্রিজেরেটরটা। এই সময় যদি হুট করে ফ্রিজটা নষ্ট হয় তবে আমাদের অবস্থা কতই না করুন হবে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন আপনার রেফ্রিজেরেটরটা ভালো থাকুক। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো করলে রেফ্রিজেরেটরের কম শক্তি খরচ হবে মানে রেফ্রিজেরেটরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। রেফ্রিজেরেটরের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা গুলো লিখেছেন “নিশীতা মিতু”
অকারনে দরজা খোলা থেকে বিরত থাকুনঃ
ফ্রিজের দরজা যত কম খুলবেন, ততই ফ্রিজের ভেতরকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো থাকবে। কিছু রাখার জন্য বার বার ফ্রিজ না খুলে একসাথে গুছিয়ে সব একসাথে রাখুন বা বের করুন।
পিছনের দেওয়ালে জিনিসপত্র ঠেসে দিবেন নাঃ
রেফ্রিজেরেটরের পেছনের দেওয়ালে কোন কিছু ঠেসে রাখা থেকে বিরত থাকুন। এটি ফ্রিজের শীতল চক্রের ক্ষতি করে ফলে ফ্রিজকে বেশী শক্তি খরচ করতে হয়। তাছাড়া আপনার রাখা সবজী বা মাছ মাংসের জন্যই এটি ভালো নয়।
সরাসরি গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন নাঃ
সরাসরি গরম খাবার ফ্রিজে রাখা মোটেও উচিত নয়। কারন, সে খাবার ঠান্ডা করতে ফ্রিজকে খুব বেশি শক্তি অপচয় হয়। এছাড়াও সরাসরি গরম খাবার থেকে আপনার ফ্রিজে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।
খাবার ঠান্ডা হতে পরিমিত সময় দিনঃ
খুব তাড়াতাড়ি খাবার বা মাছ, মাংস ঠান্ডা করার জন্য যদি আপনি ফ্রিজের ঠান্ডা হবার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন, তবে বোকামী করবেন। এতে ফ্রিজের খুব বেশি শক্তি খরচ করতে হয় যা থেকে আপনার ফ্রিজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। এর চেয়ে বরং জিনিস ঠান্ডা করার জন্য ফ্রিজকে পরিমিত সময় দিন।
কুলিং কয়েল পরিষ্কার রাখুনঃ
ফ্রিজের পেছন দিকে যে কুলিং কয়েল থাকে সেখান থেকেই ফ্রিজে শক্তি পৌছায়। সেই কুলিং কয়েলে প্রচুর ধুলো জমলে শক্তির প্রবাহ কমে যায় আর তখন ফ্রিজের শক্তি বেশি ব্যয় হয়। তাই এই কুলিং কয়েল পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। তবে একটু সাবধানে করবেন যেন কুলিং কয়েলের বক্ররেখাগুলোর কোন ক্ষতি না হয়। তাহলে সেগুলো কর্মদক্ষতা কমে যাবে।
জমে থাকা অতিরিক্ত বরফ অপসারন করুনঃ
অনেকে ভাবেন, ফ্রিজে যত বরফ থাকবে ততই ভালো। এই ধারনা কিন্তু একদম ভুল। অতিরিক্ত বরফ জমা হলে রেফ্রিজেরেটরের ঠান্ডা করার কর্মদক্ষতা কমে যায়। তাই ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা হলে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো অপসারন করুন।
এনার্জি বাল্ব সংযুক্ত করুনঃ
ফ্রিজে একটি এনার্জি বাল্ব সংযুক্ত করুন। এটি ফ্রিজে থাকা বাল্ব থেকে বেশি তাপ উৎপন্ন করবে যার ফলে আপনার রেফ্রিজেরেটরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে লেড লাইট বেশ ভালো কাজ করে।
দেওয়াল থেকে দূরে রেফ্রিজেরেটর রাখুনঃ
দেওয়ালের সাথে ফ্রিজকে ঠেসে না রেখে দেওয়াল থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন। অন্তত কিছুটা দূরে। এতে ফ্রিজ কম শক্তিতে বেশি ঠান্ডা করতে পারে।
চুলা বা ওয়াটার হিটার থেকে ফ্রিজ দূরে রাখুনঃ
ফ্রিজকে অবশ্যই এমন কিছু থেকে দূরে রাখুন যা তাপ উৎপন্ন করে। বিশেষ করে চুলা, স্টোভ, ওয়াটার হিটার এসব থেকে দূরে রাখুন।
ফ্রিজকে বাতাসের সংস্পর্শে রাখুনঃ
বন্ধ ঘরে ফ্রিজ না রেখে যেখানে বাতাসের ঠিকমত প্রবাহ হয় তেমন জায়গায় ফ্রিজ রাখুন। ফ্রিজের পেছন দিক দিয়ে যে গরম বাতাস বের হয় তা সাধারন বাতাসের সাথে মিশে বাতাস অদল বদল করে।
আপনি যদি, এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখেন যেখানে ফ্রিজের আশেপাশে ঠিকমত বাতাস পৌঁছোও না, তবে ফ্রিজকে খুব বেশি শক্তি অপচয় করতে হবে আর খুব দ্রুতই আপনার রেফ্রিজেরেটর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
জেনে নিলেন তো কোন কাজগুলো করলে, আপনার রেফ্রিজেরেটর কম শক্তি ব্যায়ে বেশি কাজ করতে পারবে? এবার তবে এইদিকগুলো খেয়াল রাখুন।