‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ এই প্রবাদ সবারই জানা আছে। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও রাগ নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিনই হয়ে পড়ে। অনেকের আবার হঠাৎ করেই রেগে উঠার স্বভাব। রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নানা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন তারা না বুঝেই। আসলে রাগের কারণে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয় নিজেরই। বিশ্বজুড়েই ‘অ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট’ বা রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জেনে নেওয়া যাক রাগ নিবারণের কিছু টিপস।
হঠাৎ করেই যদি মনে করেন রাগের কারণে পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তবে একটু সময় নিন। জোরে জোরে তিনবার শ্বাস টানুন। সেইন্ট লুইস ইউনিভার্সিটির কমিউনিটি অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিনের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ড. রবার্ট নিকোলসন জানান, রেগে গেলে মানুষের মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকবার শ্বাস টেনে নিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। এতে রাগ না কমলেও রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় মস্তিষ্ক নিজ থেকেই বের করে নেওয়ার সুযোগ পায়। কোন পরিস্থিতিতে রাগ বেড়ে যাচ্ছে সেটা নির্ণয়ের পরামর্শ দেন ড. নিকোলসন। এতে করে ওই ধরনের পরিস্থিতির এড়িয়ে চলার সুযোগ থাকে।
‘কোনোভাবেই রেগে যাওয়া চলবে না’ নিজেকে এটা বারবার বোঝান। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার স্বনামধন্য সাইকোথেরাপিস্ট ড. টিনা টেসিনা জানান, রাগ মোকাবেলার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তির উপরে কিছু নেই।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। পরিস্থিতি থেকে সরে এসে নিজেকে খানিকটা সময় দিন।
রেগে যাচ্ছেন এমন মনে হলে কৌতুক করে হালকা করে ফেলতে পারেন পরিবেশ।
ক্ষোভে ফেটে পড়ার আগে একটা কাজ করুন। মোবাইলে টাইমার সেট করে দিন ২ মিনিট। এই ২ মিনিট চুপচাপ থাকুন। এই সময়ের মধ্যেই কমে যাবে রাগ।
যার উপর রাগ হয়েছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না। ফোন অথবা মেসেঞ্জারে কথা না বলে বরং একটি চিঠি লিখুন তাকে।
রাগ মনে রেখে দেবেন না। কাছের বন্ধু বা জানানো যায় এমন কাউকে জানান আপনার রাগের ব্যাপারে। আলোচনা করুন খোলামেলা।
রাগতে শুরু করলে সেটার প্রকাশ ঘটার আগেই অন্যদিকে মনোযোগ নিয়ে যান। পছন্দের কোনও কাজ করতে পারেন অথবা খাবার খেতে পারেন। এটি শান্ত করবে মন।