শীতকালে আমলকি খাওয়া কেন জরুরি

শীতকালে আমলকি খাওয়া কেন জরুরি

চুলের জেল্লা বৃদ্ধি, রুক্ষতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা, পেটের গোলযোগ দূর, শরীর চাঙ্গা এমন হাজারও সমস্যার সমাধান করে আমলকি। ভেষজ যত ফল রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উপরেই আছে এই ছোট্ট ফলটি।

 

আমলকি কিন্তু বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। কেউ এমনিতেই খান কেউবা আচার কিংবা মোরোব্বা বানিয়ে সারাবছর সংরক্ষণ করেন। আমলকির রয়েছে অনেক গুণ। বছরের অন্য সময়টাতে আমলকি না খেলেও শীতে আপনাকে খেতেই হবে। চলুন জেনে যাক যেসব কারণে শীতকালে আমলকি খাওয়া ভালো

 

হজম শক্তি বাড়ায়- পাচন ক্রিয়ায় খুব সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বদ হজম এবং অ্যাসিডিটিতেও খুব কাজে দেয়।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার জন্য বিপাকের হার বাড়ে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়াল আক্রমণের জন্য সর্দি কাশির সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করে। আমলকি, গুড় আর সন্দক লবণ দিয়ে ক্যান্ডি বানিয়েও খাওয়া যায়। দিনে তিন চারবার খাওয়ার পরে খাওয়া যেতে পারে।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে- প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ভাববেন না চিকিৎসকের দেয়া ওষুধের বদলে এগুলো খাওয়া যেতে পারে। বরং ওষুধের পাশাপাশি রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন আমলকি।

 

চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে- অসময়ে চুল পেকে যাওয়া আটকাতে পারে আমলকি। এছাড়া চুলের গোড়া মজবুত করতে, খুস্কি দূর করতে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতেও সাহায্য করে আমলকি।

 

ভিটামিন সি-তে ভরপুর- কমলালেবুর চেয়ে আট গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে। বেদানার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এক গ্লাস পানিতে দু চামচ আমলকি পাউডার, দুই চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি কাশিতে খুব আরাম হয়। দিনে তিন চারবার খেতে হবে।