বিয়ে বা ভালোবাসা সম্পর্ক হতে হবে মাধুর্যপূর্ণ। বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পারে না সম্পর্কের মাধুর্য আর নেই। কোথাও যেন হারিয়ে গেছে। এই সম্পর্ক আর আগাবে না।
কখন বুঝবেন সম্পর্ক আর আগেরমত নেই
১. স্থিতিশীলতা
স্বাভাবিক সম্পর্কে দম্পতির মধ্যে থাকবে স্থিতিশীল অঙ্গীকার, একটা নির্ভার ভাব। ক্রমাগত মান-আভিমান বা ঝগড়া চলতে থাকলে বুঝতে হবে বিষাক্ত সম্পর্কে ঢুকে পড়েছেন। অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা এগুলো একটি অকার্যকর সম্পর্কের উদাহরণ।
অকেজো সম্পর্ক ঠিক উল্টো। ঝগড়া হবে, মান-অভিমান হবে। তবে সেটা হবে একটি সহনীয় পর্যায়ে। মোট কথা, রাগ-ভালোবাসা দুটোই থাকবে।
২. সম্মান
একটি আদর্শ সম্পর্কে একের প্রতি অপরের ব্যক্তির শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। এর অর্থ, পারস্পরকি শ্রদ্ধাবোধ কাজ করবে।
কিন্তু অকেজো সম্পর্ক তখনই হয়, যখন একজন অন্যজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। এ ধরনের সম্পর্কের মাঝে আর সম্মানবোধ থাকে না।
৩. সম্পর্কের আয়ু বৃদ্ধি
এক্ষেত্রে সম্পর্ক দীর্ঘায়ু লাভ করবে। ভালোবাসার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। সময়ের সঙ্গে তা ক্রমেই পরিণত হতে থাকবে।
অকেজো সম্পর্কে টানাপড়েন চলতেই থাকে। একের প্রতি অপরের মনের স্রোত ক্রমাগত দিক পরিবর্তন করতে থাকে। দুজনে কখনোই সমভাবে চলে না। সেটা দীর্ঘায়ু হয় না।
৪. সংকোচবোধ
স্বাভাবিক সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি কোনো সংকোচবোধ থাকবে না। সেখানে বিরাজিত থাকে সরলতা। মন খুলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। কোনো বাধা থাকবে না।
কিন্তু অকেজো সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সংকোচবোধ থাকবে। অনেক চিন্তাভাবনা করে তবেই সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
৫. সহানুভূতি
স্বাভাবিক সম্পর্কে হবে সঙ্গী-সঙ্গিনী সহানুভূতিশীল থাকবেন। একে অপরের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রবণতা থাকবে না।
অকেজো সম্পর্কে এর ঠিক উল্টো পরিস্থিতিটাই দেখতে পারবেন। সেখানে পারস্পরিক সহানুভূতির দেখা মিলবে না।
৬. সমর্থন
কার্যকর সম্পর্কে একে অপরের ভালো বিষয়গুলোকো যৌক্তিকভাবে সমর্থন করবে সবসময়। সেটা যেকোনো অবস্থায়ই হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকেই সঙ্গীকে পাশে পাবেন। সঙ্গে মানসিক সমর্থনও পাবেন।
সম্পর্কে যখন সঙ্গীকে কখনোই পাশে পাবেন না, বুঝে নিন তা অকেজো হয়ে পড়েছে।