হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে, নবীজির মেরাজের ঐতিহাসিক ঘটনার সময় মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশেষ উপহার প্রদান করেন। এর মধ্যে প্রথম উপহার ছিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যা ফজিলত অনুযায়ী ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সমান। মুসা (আ.)-এর পরামর্শে ও নবীজির আবেদনের পর এটি পাঁচটি ওয়াক্তে পরিবর্তিত হয়। দ্বিতীয় উপহার হিসেবে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত দেওয়া হয়, যা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত এবং শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষাকারী। এই আয়াত দুটি দ্বারা শয়তান ঘরের কাছেও আসতে পারে না, বিশেষত যখন এগুলো তিন রাত তিলাওয়াত করা হয়।
তৃতীয় উপহার ছিল শিরকমুক্ত উম্মতের মারাত্মক গুনাহ ক্ষমা করার সুসংবাদ এবং তাওবার মাধ্যমে কবিরা গুনাহের ক্ষমা। তবে এটি তাওবা ও শিরকমুক্ত ঈমানের শর্তযুক্ত, অর্থাৎ যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বিশ্বাস করে এবং তাওবা করে, তাদের জন্য ক্ষমা বরাদ্দ থাকবে। নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে এবং তাওবা করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদিও সে কোনো বড় গুনাহ করে থাকুক।
চতুর্থ উপহার ছিল ইবরাহিম (আ.) থেকে বিশেষ তাসবিহ। মেরাজের রাতে নবী (সা.)-এর ইবরাহিম (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল, যেখানে ইবরাহিম (আ.) নবীজিকে জান্নাতের সৌন্দর্য বর্ণনা করেন এবং উম্মতের জন্য বিশেষ তাসবিহ প্রদান করেন। এটি হলো ‘সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদু লিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’, যা জান্নাতের সমতলভূমিতে গাছপালা হিসেবে থাকবে।