ভ্রমণ বা কাজের জন্য নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে আমরা হোটেল খোঁজার সময় নানা ওয়েবসাইটে রিভিউ পড়ি এবং নামীদামি হোটেল বেছে নেয়ার চেষ্টা করি। তবে, দামি হোটেলে থাকার অর্থ কি সবসময় নিরাপত্তা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত? অধিকাংশ হোটেল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলে বলে দাবি করে, তবে এসব নিয়ম বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। চিকিৎসক ডা. জেনিফার স্ট্যাগও বলেন, দামি হোটেলেই সবসময় সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন রুম পাওয়া যায় না, এমনকি অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের তথ্যও সেটা প্রমাণ করেছে।
ভ্রমণকারীদের অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত। বিশেষ করে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্য আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন। তবে সব ভ্রমণকারীর জন্যই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, কারণ কেউই তো অসুস্থ হতে চান না।
১. কাচের পাত্র: বেশিরভাগ হোটেল গ্লাস বা মিনিবারের পাত্র সঠিকভাবে পরিষ্কার করে না। কিছু হোটেল কর্মীরা মনে করেন, অতিথি এটি ব্যবহার করেনি, তাই শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়। ফলে জীবাণু থাকতে পারে। তাই ওয়ানটাইম কাপ বা নিজের গ্লাস নিয়ে যাওয়া ভালো।
২. বাথরুম ও ট্যাপ: বাথরুমের ট্যাপ বা ঝরনার হাতল জীবাণুর বড় উৎস হতে পারে, কারণ অনেক সময় টয়লেট পরিষ্কারের কাপড় দিয়ে এই অংশগুলো পরিষ্কার করা হয়। এর ফলে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই ব্যক্তিগত জিনিসগুলো বাথরুমে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
৩. রিমোট কন্ট্রোল: হোটেলের রিমোট কন্ট্রোলেও জীবাণু থাকতে পারে, বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী সময়ে যদি এটি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা হয়। তাই রিমোট ব্যবহারের পর হাত ধুয়ে ফেলা উচিত, অথবা প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে ব্যবহার করা ভালো।
৪. টেবিল: হোটেলের টেবিল অনেক ব্যবহার হয়, ফলে সেখানে জীবাণু থাকতে পারে। খাবার রাখার আগে অথবা কাজ করার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত, যাতে জীবাণু না ছড়ায়।
৫. টেলিফোন: হোটেল রুমের টেলিফোনে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা ত্বকের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই টেলিফোন ব্যবহার করার পর হাত ধুয়ে ফেলা উচিত, অথবা লাউড স্পিকারে কথা বলা ভালো।
৬. কফি মেকার: কফি মেকার ব্যবহারে ছত্রাক এবং শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস থাকতে পারে। তাই এটি ব্যবহার না করা ভালো। আপনি একবার ব্যবহারযোগ্য পড ব্যবহার করতে পারেন, অথবা হোটেলের লবিতে গিয়ে কফি পান করা নিরাপদ।
৭. বিছানা ও বালিশ: হোটেলের বিছানা এবং বালিশের কাভারে জীবাণু থাকতে পারে, বিশেষ করে যৌনরোগের জীবাণু। তাই বিছানায় কিছু নোংরা দেখা গেলে নতুন চাদর চাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।