টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার অংশ হিসেবে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় শহরের কালিসীমা সংলগ্নে শালগাও মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা ইজতেমার গতকাল শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন। কয়েকটি জেলার বিভিন্ন স্থান হতে আসা পাঁচ লক্ষাধিক মুসুল্লী এ ইজমেতায় শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করেন। এটি জেলার স্মরণকালের সবচেয়ে বেশী মুসুল্লীর অংশগ্রহণে জুম্মার নামাজ আদায়। জেলা ইজতেমা মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় আশপাশের সড়ক, বাসা-বাড়ীর উঠান ও ছাদে বসেও মুসুল্লীদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। জুম্মার নামাজ পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের সূরা সদস্য মাওঃ রবিউল করিম।
গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি ওলামায়ে কেরামগন বয়ান করছেন। ইজতেমায় আগত মুসুল্লীরা এসব বয়ান শ্রবন করছেন।
শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা’ শেষ হবে। ব্রাহ্মনবাড়িয়া পুলিশ সুপার জানান, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসুল্লীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থার কর্মীরা। ইজতেমা পরিদশন ও জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন পাবর্ত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরি এমপি,জেলা প্রশাসক মো রেজওয়ানুর রহমান,পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম বার,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার প্রমুখ।