খাবারের স্বাদকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে ঘি এর জুড়ি মেলা ভার। এটি এমন এক উপাদান, যা মুখরোচক সব ধরনের খাবারেই ব্যবহৃত হয়। শুধু খাবার নয়, রূপচর্চায়ও কিন্তু এটি বেশ উপকারী। একদিকে ঘি বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে চুলের যত্নেও এটি সমান কার্যকরী। খুশকির সমস্যা সমাধান, চুল পড়া রোধ এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ঘি। এক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন, আপনি যদি সরাসরি চুলে ঘি লাগান তাহলে পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট হয়। এজন্য চুলে ঘি ব্যবহারের সময় সবসময় এর সঙ্গে অন্য আরেকটি উপাদান মিশিয়ে নিন। যাতে চুল থেকে সহজে ঘি পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।
এবার জেনে নিন চুলে ঘি ব্যবহারে কী কী উপকার পাবেন-
চুল পড়া রোধে
প্রথমে একটি প্যানে চার থেকে পাঁচ চামচ ঘি গরম করুন। হালকা গরম হলে এর সঙ্গে পাঁচ গ্রাম কাজুবাদামের গুঁড়ো ও তিন টেবিল চামচ কাজুবাদামের তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল পড়া রোধ হবে।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
ঘি চুলে শাইনি ভাব আনতে সাহায্য করে এবং চুলকে নরম করে। এজন্য একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ ঘি ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। এবার ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে।
আগা ফাটা দূর করে
তিন টেবিল চামচ ঘি নিয়ে চুলের আগায় ভালো করে লাগান। এবার ১৫ মিনিট পর চুল আঁচড়ে নিন। সবশেষে চুলে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর হবে।
ঝলমলে চুল
চুরে সরাসরি ঘি লাগিয়ে ২০ মিনিট পর লেবুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস চুলে আলাদা একটা চকচকে ভাব আনতে সাহায্য করে।
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
মাসে অন্তত দুবার চুলে ঘি লাগান। এরপর আমলকির রস অথবা পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে আপনার মাতায় নতুন চুল গজাবে।
খুশকি দূর করে
কাজুবাদামের তেলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর গোলাপজল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি দূর হবে।
মাথার তালুর সংক্রমণ দূর করে
মাথার তালুতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের এসব সমস্যা অনেক সময় সংক্রামক হয়। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাথার তালুতে ঘি ব্যবহার করলে সংক্রমণে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।