শীতে পা ফাটা রোধে করণীয় কি

শীতে পা ফাটা রোধে করণীয় কি

শীতকালে রুপ লাবণ্য ধরে রাখতে আমরা সবাই কিছু না কিছু ব্যাবহার করে থাকি। রুক্ষতা, সে কারও মেজাজে হোক অথবা ত্বকেই হোক তা কারোরই কাম্য নয়। তবে শীতের মৌসুমে ত্বকের শুষ্কতা আর ফাটার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচারও যে জো নেই এ বিষয়ে আমরা সবাই অবগত। আমাদের নিজেদের অবহেলার জন্যই শীতের এই সময় শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তাই শীতের শুরু থেকেই পায়ের জন্য চাই বাড়তি পরিচর্যা।

শীতকালে যেকোনো মানুষেরই পা ফাটতে পারে। কিন্তু এ সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে আরেও বাড়তে পারে। কখনও বা এ ফাটা গভীর হয়ে রক্তও ঝরতে পারে। তাই শীতকাল এলে যাদের পা ফাটা রোগ রয়েছে তাদের কিছুটা সাবধানে থাকতে হয়।

পা ফাটার কারণ:

শুধু শীতেই নয়, প্রচণ্ড গরমেও পা ফেটে যায়। তেল বা ক্রিম লাগিয়ে পাকে ফাটার হাত থেকে আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কী কারণে পা ফাটে চলুন সেটা জেনে নেই।

সাধারণত যেসব কারণে পা ফাটে তা হল –

 

১.খালি পায়ে ঘোরার ফলে পায়ে এক ধরনের ফাঙ্গাস তৈরি হয়। এই ফাঙ্গাসটাই ধীরে ধীরে বেড়ে পায়ের গোড়ালিতে ছড়ায়। আর এর ফলেই পা ফেটে যায়।

২.আমরা বাড়িতে সাধারণত ঘর পরিষ্কার করার জন্য যেসব ডিটার্জেন্ট বা সাবান ব্যবহার করি তা পায়ে লাগার ফলেও পা ফেটে যায়।

৩.বেশি সময় পানিতে থাকার ফলেও পা ফেটে যায়।

৪.প্লাস্টিকের জুতা চপ্পল পরার ফলেও পা ফেটে যায়।

৫.মধুমেহ বা অত্যধিক ওজন থাকার ফলে পায়ের ওপর অত্যধিক ওজন পড়ে, সে কারণেও পা ফেটে যায়।

৬.শরীরে ভিটামিন, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব হলেও পা ফেটে যায়।

৭.সুতরাং এসব বিষয় লক্ষ্য রেখে কারণগুলো এড়িয়ে চললেই পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রতিকারের কিছু পদক্ষেপঃ

 

১. খুব ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পা মোজা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

২. ঘরের ভেতরে মেঝেতে স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।

৩. শীতকালে গোড়ালি ঢাকা ও আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন।

৪. শীতকালীন বেশি বেশি শাকসবজি খান।

৫. শীতকালে অনেকেরই পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

৬.  প্রতিদিন গোসল বা অজুর সময় পা ভেজানোর পর শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন।

৭. গোড়ালি ও তালুতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন মাখুন।

৮. সপ্তাহে অন্তত এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিন।

৯. গামলায় লেবুর রসমিশ্রিত হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে পা ঘষে মৃত কোষ ফেলে দিন। লেবুর রসে যে অ্যাসিটিক অ্যাসিড আছে তা মৃত কোষ ঝরতে সাহায্য করবে। তারপর পা মুছে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।

১০. জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।