কখনো কখনো পুরুষের মনে হয় নারীর মন বোঝা দায়। আবার কখনো কখনো একজন নারীর মনে হয় পুরুষকে বোঝা বড় কঠিন।
আসল বিষয় হচ্ছে নারী-পুরুষ সবই সমান। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মত পার্থক্য দেখা দেয়। তেমন কিছু মত পার্থক্য তুলে ধরা হলো
যখন মন খারাপ:
পুরুষের যখন মন খারাপ হয় তখন সে চুপচাপ এক কোণে বসে থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু নারীর মন খারাপ হলে সে বসে থাকার বদলে অতিরিক্ত কথা বলে। যা পুরুষ পছন্দ করে না। আর তখনই ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়।
পুরুষ সোজাসাপ্টা থাকে:
যখন তারা বলবে ‘এটা ঠিক আছে’ তো ঠিক আছে। কিন্তু যখন একজন নারী বলে এটা ঠিক আছে, তখন সেটা থাকে না। কারণ নারী সব সময়ই চায় এর কারণ খুঁজে বের করতে। কিন্তু পুরুষ কখনো তা করে না, তারা চায় নারীও সব সময় সোজাসাপ্টা উত্তর দিক।
পুরুষ প্রশ্ন করে বেশি:
যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তখন পুরুষ অতিরিক্ত প্রশ্ন করে। কারণ সে প্রতিটা বিষয়ে স্বচ্ছ থাকতে চায়। আর তখনই নারী বিরক্ত হয়ে যায়।
শোনা নিয়ে:
নারীরা সব সময়ই অভিযোগ করে পুরুষ তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে না। কিন্তু পুরুষ মনে করে শোনা মানে হচ্ছে চুপচাপ নারীর পাশে বসে থাকা। তবে এটা প্রমানিত যে, যখন কোনো মজাদার বিষয় নিয়ে কথা বলা হয় তখন পুরুষ মনোযোগ দিয়ে তা শোনে।
পুরুষ সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়:
যখন কোনো পুরুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘তোমার দিনটি কেমন গেল’, পুরুষ সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দেবে ‘ভালো’। কিন্তু একই প্রশ্ন নারীকে করা হলে সে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এর বর্ণনা দেবে। এ কারণেই নারী সব সময়ই চায় পুরুষ মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনুক।
পুরুষ অনুমান করে, নারী পরিষ্কার করতে চায়:
পুরুষ অনেক কিছুই অনুমান করে বুঝে নেয় কী হবে। কিন্তু নারী কোনো বিষয়ে স্পস্ট ধারণা না পেয়ে নিশ্চিত হতে চায় না।
পুরুষ একই প্রশ্ন বার বার করা অপছন্দ করে:
যখন কোনো পুরুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় তোমার দিনটি কেমন গেল, এতে সে খুশি হবে। কিন্তু পরবর্তীতে একই প্রশ্ন প্রতিবার করা হলে সে বিরক্ত হয়ে যাবে। অপরদিকে একজন নারীকে একই প্রশ্ন যতবারই করা হোক না কেন সে খুশিই হবে। কারণ, নারী ভাবে প্রশ্নকর্তা তার অনেক খেয়াল রাখে।