ভালোবাসার ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক নিয়ে চিন্তা করেন সবাই-ই। কারও কাছে জীবনটা খুব ভালো, কারণ তাদের জীবনে আছে একান্ত আপন একটি মানুষ। যারা সঙ্গীবিহীন তাদের কাছে আবার এই জীবনটাই একটু মন খারাপের।
রোমান্টিক একটি সম্পর্কে জড়ালে আপনার শুধু মনই নয়, বরং স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। মোটেও হেলাফেলার বিষয় নয় এটা। আসুন জেনে নিন প্রেমের সম্পর্ক কি কি উপায়ে আপনার স্বাস্থ্য ভালো করে দিতে পারে –
১। মানসিক সমস্যা
প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে মানুষ প্রায়ই ঝগড়া করে। একই কথা বিবাহিত দম্পতিদের জন্যেও প্রযোজ্য। কিন্তু এর পরেও সম্পর্কে জড়িত মানুষের মানসিক অবস্থা থাকে অন্যদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভালো।
এমনকি যারা সম্পর্কে তেমন আন্তরিক নন তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা বেশ হতে দেখা যায়। সুতরাং সম্পর্কে জড়ালেই হবে না, সম্পর্কে থাকতে হবে আন্তরিক। তবেই মানসিক স্বাস্থ্য থাকবে চমৎকার। নারীপুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এ সুবিধা রয়েছে।
২। ব্যাথা কম হওয়া
“লাভ ইজ পেইন” বা “ভালোবাসা যাতনা” যারা বলেন, তাদের মতামত পরিবর্তন করার সময় এসেছে। কারণ সত্যিকারের ভালোবাসার অনুভূতি পারে ব্যাথার অনুভূতিকে ভোঁতা করে দিতে। ভালোবাসার মানুষটির প্রতি মনোযোগ দিলে তাদের ব্যাথার অনুভূতি অনেকটাই কমে যায়।
৩। স্ট্রেস কম
আমাদের অনেক রোগের পেছনে লুকানো কারণ হলো স্ট্রেস। স্ট্রেসমুক্ত জীবনে অনেক রকমের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। আর এটা তো ধরেই নেওয়া যায় যে পারস্পরিক সমঝোতা থাকলে একটা সম্পর্কে স্ট্রেস অনেক কম থাকবে এবং সার্বিকভাবে জীবনের স্ট্রেসও কম হবে। আসলেই তাই।
রীতিমত গবেষণা থেকে প্রমাণিত একটি বিষয় হলো, শান্তিপূর্ণ একটি সম্পর্কে থাকলে মানুষের জীবনের স্ট্রেসও কম হয় এবং শরীর ভালো থাকে। একজন মানুষ যখন স্ট্রেসে থাকে তখন তার সঙ্গী তাকে মানসিক সহায়তা দেয় এবং এভাবেই মন অনেকটা ভালো করে দেয় সম্পর্ক।
৪। দীর্ঘায়ু লাভ
যেসব মানুষ বিবাহিত এবং তাদের সঙ্গীর সাথে বসবাস করেন তাদের আয়ু দীর্ঘ হয়ে থাকে অন্যদের তুলনায়। একাকী জীবনযাপন করতে থাকা মানুষ বা বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এমন মানুষের আয়ু কম হয়ে থাকে।
৫। আনন্দ
প্রথম প্রথম প্রেমে পড়ার পর এবং সম্পর্কে জড়ানোর পর মানুষ মোটামুটি ঢোল পিটিয়ে জাহির করতে থাকে যে তার একজন ভালোবাসার মানুষ আছে এবং এতে সে কতোই না সুখি!
এটা কিন্তু আসলেও সত্যি যে মানুষ যদি সত্যি সত্যি প্রেমে পড়ে, তবে সে এমনিতেই থাকে আগের চাইতে অনেক বেশি হাসিখুশি। আর জীবনে আনন্দ থাকার কারণে এসব মানুষের স্বাস্থ্যও থাকে সার্বিকভাবে ভালো।