বিংশ শতাব্দীর প্রায় পুরোটা জুড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিচয় ছিল বিশ্বের অন্যতম তেল উত্তোলনকারী হিসেবে। অন্যভাবে বললে ‘পরিবেশদূষক’ হিসেবে। বিগত দুই দশকে সেই কালিমা মোছার অনেক চেষ্টা করেছে দেশটির সরকার। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছে, শহরগুলোর জন্য পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎস স্থাপনের চেষ্টা করেছে। লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে রাজধানী দুবাইয়ে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৭৫ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।
বৃহত্তর সে লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দুবাইয়ে নতুন এক শহর তৈরি হচ্ছে। ‘সাসটেইনেবল সিটি’ নামের শহরটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জ্বালানি উৎপাদন করবে। ৩৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে শহরটির নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে।
শহরজুড়ে চলবে এমন স্মার্ট গাড়ি
শহরজুড়ে চলবে এমন স্মার্ট গাড়ি
দুবাইয়ের পরিবহন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, ১১৩ একর জায়গার এই শহরে চলবে চালকহীন বৈদ্যুতিক গাড়ি। আর নিষিদ্ধ করা হবে প্রচলিত গাড়ির চলাচল। কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আনতেই তাদের এমন উদ্যোগ। গ্যাসস্টেশনের বদলে শহরজুড়ে ২৫০টি চার্জিং স্টেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অধিবাসীরা গণপরিবহনে যাতায়াত করতে পারবেন। এর বাইরে বৈদ্যুতিক স্মার্ট গাড়ি কিংবা ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে শহরটির বেশির ভাগ এলাকায় প্রচলিত প্রযুক্তির গাড়ি চালাতে পারবেন না।
বাড়ির মালিকেরা বিনা মূল্যে বৈদ্যুতিক গলফ কার্ট পাবেন। তবে চাইলে এর বদলে অন্য কোনো বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনায় ১০ হাজার ডলার ভর্তুকি নিতে পারবেন।