পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে সোয়াত উপত্যকার একটি সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী তালেবান হামলায় অন্তত ১১ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৩ জন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অঞ্চলটি আগে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০০৭ সালে কিছুদিনের জন্য জায়গাটি দখলে নেয় তালেবান। বিগত কয়েক বছরে হামলার পরিমাণ কমে আসলেও আতঙ্ক ঠিকই রয়ে গেছে।
এই অঞ্চলটিই পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী নৃগোষ্ঠীদের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি এখান থেকে দুই হাজারের বেশি তালেবানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদফতর জানায়, সেনাদের খেলাধুলার জায়গায় আত্মঘাতী হামলাটি চালানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, সন্ধ্যায় সেনাঘাঁটিতে ভলিবল খেলছিলেন সেনারা। তখনেই আত্মঘাতী হামলা চালাতে সক্ষম হয়।
সে সময় বেসামরিক নাগরিকও উপস্থিত ছিলেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই কর্মকর্তা।
ইতিমধ্যে হামলার দায়ভার স্বীকার করেছে তেহরিক ই তালেবান। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলে, ইশ্বরের ইচ্ছায় তালেবান প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছে। সামনে আরো হামলা হবে।
এ হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী খাকান আব্বাসি বলেন, কোনো কাপুরোষোচিত হামলায় আমাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই থেমে যাবে না। আমরা যু্দ্ধ চালিয়ে যাব।