শাহরুখ খান। বলিউডের কিং খান বলা হয় তাকে। অভিনয় দিয়ে বহু আগেই মানুষের মনে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। অথচ জীবনের ৫২টি বসন্ত পার করা এই সুপারস্টার এখন ভারতে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।
আর তার কারণ শাহরুখ খানের আলিবাগের বিলাসবহুল ফার্মহাউজ বাজেয়াপ্ত করেছে দেশের আয়কর বিভাগ। যেটি কিনা চাষের জন্য কেনা জমিতে বেআইনিভাবে বানানো হয়েছে। আরও জানা যায়, শাহরুখের এই বাংলোটি কোনোভাবেই কোস্টাল রেগুলেশন জোনের নিয়ম মেনে বানানো হয়নি।
এবার এই বেনামি ফার্মহাউজের মামলায় শাহরুখকে আরও বিপাকে ফেললেন কিং খানের প্রাক্তন চ্যাটা র্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোরেশ্বর আজগাওঙ্কর।বড়সড় আইনি জটিলতায় বলিউড বাদশা শাহরুখ, হতে পারে জেল। খবর জি নিউজের।
সূত্রে খবর, চিঠি লিখে আয়কর বিভাগকে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন মোরেশ্বর নিজেই। তাঁর কথায় ‘দেজা ভু’ কোম্পানি নয়, শাহরুখই আসলে এই বেনামী সম্পত্তির মালিক। আর খোদ কিং খানই তাঁকে আলিবাগের ফার্মহাউজের ভুয়া দলিল তৈরি করতে বলেছিলেন।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, শাহরুখ আদপে আলিবাগের ফার্মহাউজের মালিক হিসেবে দেখিয়েছেন ‘দেজা ভু’ নামে একটি কোম্পানিকে। যে কোম্পানির ডিরেক্টর শাহরুখের শ্বশুর রমেশ ছিব্বর, শাশুড়ি সবিতা ছিব্বর ও শ্যালিকা নমিতা ছিব্বর। দেখানো হয়েছে ‘দেজা ভু’ কোম্পানি আয়ের একাংশ আসে কৃষিকাজ থেকে।
অথচ এমন কোনো আয়ই নাকি দেখাতে পারেনি ‘দেজা ভু’। দেখানো হয়েছে ‘দেজা ভু’ কোম্পানিকে এই চাষের জমি কিনতে ৮.৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন শাহরুখ। আর এ থেকেই আয়কর দফতরের ধারণা হয় আলিবাগের ফার্মহাউজের আসল মালিক শাহরুখ। আর সেই ধারণা আরও জোরালো হল আয়কর বিভাগকে লেখা মোরেশ্বর আজগাওঙ্করের চিঠিতে।
তবে শুধু আইন ভেঙে বেনামি ফার্মহাউজ বানানোই নয়, উঠেছে আরও অনেক প্রশ্নই। চাষের জন্য কেনা জমিতে কেন বানানো হল এই বিলাসবহুল বাংলো। উপকূলবর্তী অঞ্চলে যেখানে সুইমিং পুল বানানো নিষিদ্ধ, সেখানে শাহরুখের আলিবাগের ফার্মহাউজে রয়েছে সুইমিং পুল, হ্যালিপ্যাড, কৃত্রিম সমুদ্রতট আরও কত কি!
সূত্রের খবর, আয়কর দফতরের প্রশ্নের সমস্ত উত্তর না ঠিকমত না দিতে পারলে বড়সড় আইনি জটিলতায় জড়াতে পারেন বলিউড বাদশা। সম্পত্তি তো হাতছাড়া হবেই অপরাধ প্রমাণিত হলে বিপুল পরিমাণ জরিমানা এমনকি হাজতবাসও হতে পারে শাহরুখের।