কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিজভী- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
রিজভী বলেন, এ রায় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রায়। বাংলাদেশের মানুষ এ রায়কে ঘৃনা করে। আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ রায়কে আমি ধিক্কার জানাই।
তিনি বলেন, এ রায় একজনকে খুশি করার রায়। এমন একটি মামলায় একজন স্বামীহারা, সন্তানহারা নেত্রীকে যে রায় দেওয়া হয়েছে তার নজির পৃথিবীতে নেই।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে এই কারাদণ্ডে নির্বাচনে অযোগ্য হবেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা । তারা বলেন, কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাবেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অপরাধে দণ্ডিত হলেন। এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হন। তিনি প্রায় ছয় বছর সাজাও খাটেন।
কারাগারে বেগম জিয়াকে নেয়া হয়, তাহলে তিনি সেখানে কোন অবস্থায় থাকবেন? কিংবা তাকে জেলে রাখা হবে নাকি সাব-জেলে? কারাবিধি অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া প্রথম শ্রেণী অর্থাৎ ডিভিশনের মর্যাদা ভোগ করবেন।
সরকার চাইলে কোনো স্থাপনাকে সাব-জেল ঘোষণা করে সেখানেও রাখতে পারেন তাকে। তবে বেগম জিয়ার বাসভবন অর্থাৎ ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে সাব-জেল ঘোষণা করার নজির নেই বলে জানালেন বিষেশজ্ঞরা।