শনিবারই ৩৬-এ পা দিলেন সানি লিওন। পর্ন স্টার থেকে বলিউডের অভিনেত্রী হয়ে ওঠার সফরটা অবশ্য সানির কাছে খুব সহজ ছিল না। আর স্বপ্নপূরণের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন সানি। যাঁর আসল নাম কর্ণজিৎ কউর ভোরা। এক্ষেত্রে সানিকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার।
নেটওয়ার্দিআর ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইটের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক সানি লিওন। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৮৩ কোটি টাকারও বেশি।
বলিউডেও নিজের পায়ের তলার মাটি যথেষ্ট মজবুত করে ফেলেছেন সানি। প্রথম দিকে তাঁর সঙ্গে কাজ করা নিয়ে অনেক অভিনেতারই ছুৎমার্গ ছিল বলে শোনা যায়। সেই কঠিন সময়কে পিছনে ফেলে বলিউডে শাহরুখ খানের ‘রইস’-এর মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে সানিকে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, বলিউডে ছবি পিছু পারিশ্রমিক হিসেবে সাড়ে চার কোটি টাকা নেন সানি।
বিপুল সম্পত্তির সঙ্গে সঙ্গে একটি দেড় কোটি টাকা দামের মাসেরাটি গাড়ির মালিকও সানি। এছাড়াও তাঁর একটি বিএমডব্লিউ গাড়িও রয়েছে।
২০০৯ সালে নিজের স্বামী ড্যানিয়েলের সঙ্গে ‘সানলাস্ট পিকচার্স’ নামে একটি প্রোডাকসন এবং বিনোদন সংস্থা খোলেন সানি। এই সংস্থার সৌজন্যে সানির আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্ন সিনেমায় কাজ করা ছেড়ে দিলেও বিভিন্ন পর্ন ওয়েবসাইট এই অভিনেত্রীর আয়ের একটি বড় অংশ আসে। এছাড়া হিন্দি ছবি তো রয়েইছে। তাছাড়া মডেলিং, ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট, স্টেজ শো, রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহণ করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছেন সানি লিওন।
যদিও কানাডায় জন্মানো সানির কেরিয়ারের শুরুটা যথেষ্টই কঠিন ছিল। এক সময়ে জার্মান বেকারি এবং একটি ট্যাক্স ফার্মেও কাজ করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিখ্যাত একটি ম্যাগাজিনের এক ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে আলাপ হয় সানির। এর পরে আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।