১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের একটি স্কুলে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশকে উদ্ধৃত করে এক খবরে এ কথা জানিয়েছে বিবিসি।
বলা হচ্ছে সন্দেহভাজন ১৯ বছর বয়সী ওই কিশোরের নাম নিকোলাস ক্রুজ এবং তিনি ওই বিদ্যালয়েরই সাবেক ছাত্র। তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
২০১২ সালে কানেক্টিকাটে একটি বিদ্যালয়ে গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এটিই স্কুলে গোলাগুলিতে সবচেয়ে বড় নিহতের ঘটনা।
ব্রোয়ার্ড কাউন্টি শেরিফ স্কট ইসরায়েল বলেছেন, বিদ্যালয়ভবনের ভেতর ঢুকে ১২ জনকে হত্যার আগে বাইরে ৩ জনকে হত্যা করেছে ক্রুজ। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
ইভান বোয়ার নামে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন মোট ১৭ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ক্রুজকেও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনজনের অবস্থা এখনও গুরুতর বলেও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। শেরিফ ইসরায়েল একজন ফুটবল কোচের নিহত হওয়ার কথা জানালেও তার নাম বলেননি।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যার দিকে মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার আগে হামলাকারী ফায়ার অ্যালার্ম বাজিয়ে দেন।
হামলার খবর পয়ে পুলিশ ও সোয়াট টিম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম-শৃঙ্খলাজনিত কারণে তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
শেরিফ ইসরায়েল বলেছেন, আমরা তার ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে কী কী নিয়ে থাকত সেসব বিষয় খুটিয়ে দেখছি…আর সেখানে কিছু বিষয় খুবই মারাত্মক।
গুলির শব্দ শুরুর আগে ফায়ার অ্যালার্মের শব্দ পাওয়ায় অনেকে এটিকে একটি মহড়া বলে মনে করেছিলেন।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিদ্যালয়ে এবার দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটলো। আর ২০১৩ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ২৯১টি।