প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়ার পেশা জীবনের শুরুটা মডেলিং দিয়ে। মডেলিং করেছেন, হেঁটেছেন র্যাম্প এও। তবে ২০১৮ সালে ওমর লুলু পরিচালিত মালায়ালাম চলচিত্র অরু আদার লাভ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন। এটি তাঁর অভিনিত প্রথম চলচ্চিত্র। সিনেমার ২৯ সেকেন্ড এর একটি দৃশ্য ইন্টারনেট এ ছড়িয়ে পড়লে সেই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং তিনি বিশ্ববাসির কাছে পরিচিত হয়ে যান অল্প সময়েই।
একটামাত্র ভিডিওতে রাতারাতি আপামর ভারতবাসীর ‘ক্রাশ’ হয়ে উঠেছেন প্রিয়া প্রকাশ। ছেলেবুড়ো সকলেরই নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়া। তবে প্রিয়ার মতোই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন যাঁরা, চলুন পড়ে আসি তাদের কথা।
১। সাইমা হুসেন মীর: ‘রইস’–এর প্রচারে তখন সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন শাহরুখ খান। তাঁর ছবি ‘রইস’-এর প্রচারে পৌঁছেছিলেন পুণে সিম্বায়েসিস কলেজে ৷ আর সেখানেই অনুরাগীদের সঙ্গে তুললেন সেলফি ৷ শাহরুখের নিজস্ব পেজে সেই ছবি আপলোড হতেই রাতারাতিই ছবি শেয়ার হতে শুরু করল নানা মাধ্যমে ৷ তবে তা মোটেই শাহরুখের জন্য নয়, বরং শাহরুখের তোলা ছবিতে ‘গ্রীণ টিশার্ট’ পরা সাইমাকে নিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ইন্টারনেট দুনিয়ায় ৷ নেটিজেনরা শাহরুখের সেই ছবি নিচে একের পর কমেন্ট করতে শুরু করল ৷ সবারই প্রশ্ন, কেই এই সুন্দরী ? অনেকে তো থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট সাইমাকে ধরেই নিলেন মডেল বা উঠতি নায়িকা ৷ দারুণ সৌন্দর্য এই কাশ্মীরি কন্যাকে নেট দুনিয়া তাঁকে চেনে ‘জলপাইরঙের জামা পরা মেয়েটি’ নামে।
২। আর্শাদ খান: পাকিস্তানের ইসলামাবাদের নীল চোখের চা বিক্রেতা। এক ফটোগ্রাফারের সৌজন্যে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান তিনি। তবে এখন আর চা বিক্রি করেন না। পুরোদস্তুর মডেলিং–ই করেন আর্শাদ। এমনকি এই চা ওয়ালার ফ্যান স্বয়ং শাহরুখ খান। টুইটারে আর্শাদের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। আর্শাদ জানাচ্ছেন, তাঁকে দেখতে শাহরুখ খানের মত।
৩। নেপালি সব্জিওয়ালি: গত বছরে সোশ্যাল মিডিয়ার ‘সেনসেশন’ এক সুন্দরী ‘নেপালি সব্জিওয়ালি’। আসল নাম জানা যায়নি তাঁর। কিন্তু ফটোগ্রাফার রূপচন্দ্র মহারাজনের দৌলতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল নেপালের এক সব্জিওয়ালির ছবি।
৪। ওমর বোরকান আল গালা: সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে সুপুরুষ তরুণের আখ্যা পেয়েছিলেন ওমর। সৌদি আরবের এই বাসিন্দার ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যা ৮ লক্ষেরও বেশি। পেশায় মডেল ও কবি, শখের ফটোগ্রাফার। তাকে সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই মডেল যুবককে ‘বিপদজনক হ্যান্ডসাম’ আখ্যা দিয়ে নারীদের জন্য হুমকি মনে করছেন। কারণ তিনি খুব সুন্দর। তার সৌন্দর্য দেখে দেশের মহিলাদের ঘুম হারাম হতে পারে। ইচ্ছা থাকলেও সৌদিতে না থেকে তিনি এখন কানাডায় বাস করেন।