বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আর তার পরই অবস্থান রাশিয়ার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর ৫০টি করে তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেস্ক। ১৩৩ দেশের সামরিক বাহিনীর ৫০টি তথ্য বিশ্লেষণ করে ২০১৭ সালের জন্য তালিকাটি করা হয়েছে।
তালিকায় বাংলাদেশে রয়েছে ৫৭তম অবস্থানে। আর বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কে থাকা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার রয়েছে ৩১ নম্বরে। তবে এখানে পরমাণু অস্ত্রকে শক্তি হিসেবে ধরা হয়নি। দেশের আকার, সামরিক খাতে বাজেটের অংক, সেনাসদস্যের সংখ্যা ও যুদ্ধের সরঞ্জামের সংখ্যা অনুযায়ী এখানে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সামরিক শক্তি তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশ
১৩৩টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম। সামরিক বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা দুই লাখ পাঁচ হাজার। বিমান বাহিনীতে বিমানের সংখ্যা ১৬৬টি। বাংলাদেশের ট্যাংক রয়েছে ৫৩৪টি। আছে ৯৪২টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ১৮টি কামান ও ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান। নৌবাহিনীতে রয়েছে ছয়টি ফ্রিগেট, চারটি করভেট ও দুটি সাবমেরিনসহ ৯১টি তরী।
মিয়ানমার
সামরিক শক্তিতে মিয়ানমারের অবস্থান ৩১। দেশটির সেনা সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৬ হাজার। বিমান বাহিনীতে বিমানের সংখ্যা ২৪৯টি। মিয়ানমারের দখলে ট্যাংক রয়েছে ৫৯২টি। রয়েছে এক হাজার ৩৫৮টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ৯৯৬টি কামান ও ১০৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান। নৌবাহিনীতে রয়েছে পাঁচটি ফ্রিগেটসহ ১৫৫টি তরী।