শস্যখেতে পুরোনো কালো মাটির পাতিলের উল্টোদিকে সাদা রং দিয়ে বড় বড় করে চোখ-মুখ এঁকে, একটি লাঠির সঙ্গে পুরোনো বড় জামা দিয়ে মাঠের ঠিক মাঝখানে রাখা হয়। এর কারণ যাতে কেও শস্যখেতে চোখ না দেয়। অর্থাৎ খেতের ফসলে যাতে নজর না লাগে। কিন্তু ভারতের এক কৃষক এবার এই অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। তার ভরা সবুজ খেতের মধ্যে হঠাৎ তাল কেটে গেছে একটি পোস্টারে। তার ক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন লাল বিকিনি পরিহিতা লাস্যময়ী সানি লিয়ন! এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোরের এক কৃষক। যে জন্য তিনি এই পোস্টারটি টাঙিয়েছেন, সেই উদ্দেশ্য এক্কেবারে নাকি সফলও হয়েছেন- এমন দাবি করেছেন তিনি।
পড়শিদের ‘কুনজর’ থেকে খেত বাঁচাতে সানি লিয়নের পোস্টার
নেলোরের বান্ডা কিন্ডি পাল্লে গ্রামের চেঞ্চু রেড্ডি আদৌ সানি লিয়নের ভক্ত নন। তবুও কেনো তিনি পোস্টার লাগিয়েছেন? তার দাবি হলো, এরজন্য কৃষিজমিতে ফলানো বাঁধাকপি ও ফুলকপির দিকে কুনজর দিতে পারে না পড়শিরা। প্রথমেই নজর আসে সানি লিওনের ওপর!
চেঞ্চু রেড্ডি বলেন, “এই বছর ১০ একর জমিতে খুব ভালো চাষ হয়েছে। যে কারণে আমার খেত পড়শি ও পথচারীদের কুনজরে পড়ে গিয়েছে। সবাই কেমন যেনো একটা কুনজর দেয় আমার খেতের দিকে। খেত থেহতে তাদের কুনজর এড়ানোর জন্যই এই পোস্টার দিতে আমি বাধ্য হয়েছি।”
ওই পোস্টারে তেলুগুতে একটি লাইন লিখেছেন তিনি, “ওরে, নান্নু চুসি এদাভাকুরা”, যার অর্থ হলো, “আমার জন্য কেঁদো না, আমাকে হিংসাও করো না।”
চেঞ্চু রেড্ডি দাবি করেছেন, এই পোস্টারের পর হতেই পড়শিদের যাবতীয় নজর তার খেতের বদলে চলে গিয়েছে সানি লিয়নের দিকে। তিনি বলেছেন, “আমার এই চালটা কাজে দিয়েছে। কেও এখন আর আমাদের খেতের দিকে নজর দিচ্ছে না।” চেঞ্চু রেড্ডির এই অভিনব কীর্তি দেখে গ্রামের মানুষতো থ হয়ে গেছেন।