অনন্য, অনবদ্য, অসাধারণ। টাইগারদের ব্যক্তিগত রেকর্ডে জয়জয়াকার ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ। তবুও ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে হাথুরু বনাম বাংলাদেশ। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে একের পর এক ব্যক্তিগত কীর্তিতে নিজেদের রাঙ্গিয়েছেন বাংলার টাইগার ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ১৬৩ রানে।
এতো মাইলফলকের দিনে নিরবেই দারুণ এক রেকর্ড স্পর্শ করলেন টাইগার দলপতি মাশরাফিও। অধিনায়ক হিসেবে ছুঁয়ে ফেলেছেন সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জয়ের রেকর্ডধারী সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাপুটে জয় দিয়ে ওয়ানডেতে মাশরাফির জয়ের সংখ্যা মোট ২৯ টি। সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও ওয়ানডেতে জিতেছেন মোট ২৯ ম্যাচ। তবে একদিক দিয়ে বাশারকেও ছাড়িয়ে গেছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির ২৯টি জয় পেতে লেগেছে মাত্র ৫২টি ম্যাচ। অন্যদিকে, হাবিবুল বাশারের লেগেছিল ৬৯টি ম্যাচ।
এর পরের অবস্থানটি অবশ্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তিনি ৫০ ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন ২৩টিতে।
শতকরা জয়ের হিসেবেও সবচেয়ে এগিয়ে মাশরাফি। মাশরাফির অধিনায়কত্বে শতকরা ৫৮ ভাগ জয় পেয়েছে টাইগাররা। সাকিবে অধীনে বাংলাদেশের জয় শতকরা ৪৭ ভাগ। আর বাশারের অধীনে ৪২ ভাগ।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমেই ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেছেন টাইগার উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। আর প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সব ফরম্যাটে ১১হাজার রান পূর্ণ করার কীর্তি গড়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এই ম্যাচ দিয়েই এনামুল হক বিজয় ছুঁয়েছেন দ্রুততম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে একহাজার রানের মাইলফলক। যৌথভাবে শাহরিয়ার নাফিসের সঙ্গে এই কৃতিত্বের অংশীদার হলেন বিজয়।
এখানেই শেষ নয়, এই ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সব ফরম্যাট মিলিয়ে ছুঁয়েছেন ১০ রানের মাইলফলক। বাদ যাননি সাব্বিরও। ওয়ানডেতে একহাজার রানের মাইলফলকও এই ম্যাচে স্পর্শ করেছেন এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।