ফাইনালে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপার জন্যে লড়বে শ্রীলংকা, বাংলাদেশ

ফাইনালে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপার জন্যে লড়বে শ্রীলংকা, বাংলাদেশ

টুর্নামেন্টের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে ফাইনাল খেলার সম্ভবনা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো হাতুরুসিংহের শ্রীলংকার জন্যে। তবে শেষ দুটি ম্যাচে দূর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে শ্রীলংকা। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামার আগে ফাইনালে খেলার জন্যে বেশ কিছু সমীকরণ ছিলো শ্রীলংকার জন্যে।

জিতলে সরাসরি ফাইনাল, তবে হারলেও ৭০ রানের কমে হারতে হবে, এমন সমীকরণ নিয়েই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো শ্রীলংকা।

টুর্নামেন্টে টানা ৪ ম্যাচ টস জিতা টাইগার ক্যাপটেন মাশরাফি নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষেও টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন। শ্রীলংকার জন্যে এটি বাঁচা মরার ম্যাচ। অন্যদিকে ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ নেমেছিলো তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে।

অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শূণ্য রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান এনামুল। তামিমের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন সাকিব। এরপরপরই আগের ম্যাচের নায়ক তামিম ইকবাল লাকমলের বলে গুণাথিলাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফিরে যান। রিয়াদ, সাব্বির, নাসির কিংবা আবুল হাসান রাজু, কেউই লংকান বোলারদের টোপের মুখে বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারে নি। দলের পক্ষে মুশফিক সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। মুশফিক(২৬) এবং সাব্বির(১০) ছাড়া আর কেউ ডাবল ফিগারে যেতে পারে নি। লাকমল, পেরেরাদের দূর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৮২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, যা ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের ৮ম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।

 

জিততে হলে শ্রীলংকার দরকার ছিলো ৮৩ রান। তবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে দলীয় ১৩ রানই যথেষ্ঠ ছিলো শ্রীলংকার। থারাঙ্গা আর গুণাথিলাকার ব্যাটিং নৈপূণ্যে মাত্র ১২ তম ওভারেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়ে যায় শ্রীলংকা।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মিরপুরেই ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপার জন্যে লড়বে শ্রীলংকা আর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কি পারবে এখন পর্যন্ত কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ ঘোচাতে? শেষ হাসি কার, সেই উত্তরের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে ২৭ তারিখের ফাইনাল পর্যন্ত।