বিয়েটা অবশ্যই জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জন্ম ও মৃত্যুর পর বিয়েটাই একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। তবে হ্যাঁ, অনেকেই কোনও না কোনও কারণে বিয়ে করেন না। কেউ বিয়ে স্বেচ্ছায় না করলে আলাদা বিষয়। কিন্তু কেউ যখন চাইছেন, কিন্তু শত চাওয়া বা চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর বিয়েটা হচ্ছে না, তখন ব্যাপারটি অন্যরকম হয়ে দাঁড়ায়। এবং কাছের মানুষরাও তখন নানারকম মন্তব্য করেন। একবার কি ভেবে দেখেছেন, এসব শুনতে তাঁদের কেমন লাগে? চলুন, জেনে নিই এমন কি কি কথা যেগুলো মোটেই বলা চলবে না।
১. “বয়স হয়ে যাচ্ছে তো, এরপর বর/কনে পাবে না!”
-তিনি যাচ্ছেন বয়স হচ্ছে। অযথা সেটা মনে করিয়ে দেবার কোন প্রয়োজন নেই।
২. “একটা প্রেমও করতে পারলে না? আজকাল তো প্রেমেরই চল…”
-প্রেম করতে পারলে কি আর বিয়ে না করে বসে থাকতেন? এমনও তো হতে পারে যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ও সেটি ব্যর্থ হয়েছে।
৩. “বিয়ের বয়স তো পার হয়ে যাচ্ছে তোমার।”
-বিয়ের বয়স বলে আসলে কিছু নেই। একজন মানুষ যখন নিজেকে তৈরি মনে করেন, সেটিই তাঁর বিয়ের বয়স।
৪. “এর চাইতে বেশি দেরি করলে তো বাচ্চা হবে না।”
– এসব বলে অযথা মন ভেঙে দেয়ার কোন মানে নি। চিকিৎসা ব্যবস্থা আজকাল অনেক উন্নত, বয়স হলেও সেটা আজকাল বিষয় না।
৫. “তোমার বিয়ে না হওয়ার কারণটা কী?”
-নিজেই ভেবে দেখুন,কেউ নি অন্য কারো কাছে নিজের ত্রুটির কথা বলতে ভালোবাসে?
৬. “ছেলে/মেয়েদের কীভাবে পটাতে হয় আমার কাছ থেকে শিখে নাও…”
-আগ বাড়িয়ে যেচে এসব পরামর্শ দেয়ার মানে নিজেকেই ছোট করা।
৭. “ভালো ঘটকের সাথে যোগাযোগ করো।”
-যার বিয়ে হচ্ছে না, মাথা তাঁকেই ব্যথা করতে দিন। আপনার উপদেশ দেবার দরকার নেই।
৮. “তোমার চেহারা হয়তো পছন্দ হয় না।”
-একটা মানুষের চেহারা সুন্দর কি অসুন্দর, সেটা নিয়ে খোটা দেয়াটা নিচু শ্রেণীর অভদ্রতা।
৯. “চিন্তা করো না, তোমাকে বেশি বয়স্ক দেখায় না।”
এটা বলে উল্টো মনে করিয়ে দেয়া হয় যে তোমার বয়স বেশি।
১০. “বেশি বাছাবাছি করতে যেও না। যাকে পাও, বিয়েটা করেই ফেলো।”
-বিয়ে হচ্ছে না বলে যাকে তাকে বিয়ে করতে হবে এমন পরামর্শ ভুলেও দেবেন না কাউকে।
১১. “তোমার মত বয়সে আমার সংসার-সন্তান ছিল।”
-সবার জীবন একরকম হয় না। তাই অহেতুল তুলনা করবেন না।
১২. “বাইরে যাও, লোকের সাথে মেলামেশা করো। দেখো কাউকে পটাতে পারো কিনা।”
-এটাও ভীষণ সস্তাদরের উপদেশ।
১৩. “আমি শুনেছি বেশি বয়সে বিয়ে করলে অনেক সমস্যা হয়।”
-যে মানুষটার বিয়ে হচ্ছে না, এমনিতেই তাঁর মন ভেঙে আছে। অযথা আরও ভয় দেখানোর কোন মানে নেই।
১৪. “যৌবন তো শেষ-ই, আর কবে বিয়ে করবে?”
– নিজেই ভালো করে ভেবে দেখুন তো, এমন একটা কথা আপনাকে কেউ বললে কেমন লাগবে?
১৫. “বিয়ে হচ্ছে না বলে মন খারাপ কোরো না”
-এই কথাটি উল্টো আরও মন খারাপ করিয়ে দেয়।