ওয়ানডে সিরিজের পর এবার টি টোয়েন্টি সিরিজ জিততে কাল, বুধবার সেঞ্চুরিয়ানে নামছেন বিরাট কোহলিরা। রবিবার জোহানেসবার্গে তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় আয়োজক দ.আফ্রিকাকে ২৮ রানে উড়িয়ে দারুণ শুরু করেছেন কোহলিরা। ওয়ানডে-র ফর্ম যেন টি টোয়েন্টিতেও বয়ে এনেছেন বিরাটরা। সেঞ্চুরিয়ানে জিতলেই সিরিজ পকেটে। এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইছেন না কোহলিরা। আসুন দেখে নিই এই সিরিজে ভারত কী প্রথম একাদশ নিয়ে নামতে চলেছে।
অনবদ্য ফর্মে আছেন। রবিবার জোহানেসবার্গে যে অবিশ্বাস্য কায়দায় খেলে ৩৯ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলললেন তা নিয়ে কোনও কথা হবে না। ২টো ওভার বাউন্ডারি, ১০টা বাউন্ডারি হাঁকানো শিখরের ইনিংসেই জো’বার্গে বড় রানের স্কোর গড়েছিল ভারত।
জোহানেসবার্গে শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন। প্রথম ওভারে ১৮ রান তুলে নিয়ে ঝড় শুরু করেছিলেন। শেষ অবধি ৯ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে রোহিত যে ফর্মে আছেন সেটা প্রমাণ করেছেন।
গত ম্যাচে তিনে নেমেছিলেন। এক বছর পর দেশের জার্সিতে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা যেন পিঞ্চ হিটারের ভূমিকায় নেমেছিলেন। প্রতিটা বলেই মারতে চেয়েছিলেন। ৭ বলে খেলে ১৫ রানে আউট হন। সেঞ্চুরিয়ানেও তিনেই নামছেন রায়না।
একটা অবিশ্বাস্য ওয়ানডে সিরিজ খেলে উঠে জো’বার্গ টি টোয়েন্টিতে খারাপ খেলেননি। ২০ বলে করেছিলেন ২৬ রান। একবার নিশ্চিত জীবনদান পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজ জয়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা দলের কোহলির কাছে বিরাট প্রত্যাশা।
গোটা ওয়ানডে সিরিজে রিজার্ভ বেঞ্চে নেমে টি টোয়েন্টি সিরিজে দলে জায়গা পেয়েছিলেন আইপিএলের ১১ কোটির পান্ডে। ২৭ বলে ২৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের রানকে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে ছিলেন। তবে ২৭ বলে ২ নয় অন্তত ৪০-৪২ রান করার কথা ভাবতে হবে মনীশকে। ভুল গেলে চলবে না গত ম্যাচে কিন্তু ভারত শেষের দিকে ১৫ রান কম করেছিল। যদিও দ.আফ্রিকার খারাপ ব্যাটিং সেটা মালুম হতে দেয়নি।
ধোনি শুরুটা মন্দ করেননি। তবে ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংস একেবারেই মন ভরাতে পারেননি। সেদিন মঞ্চ একেবারে প্রস্তুত ছিল, ধোনি জমাতে পারেননি। তবে গত ম্যাচে সাঙ্গাকারার রেকর্ড ভেঙে টি টোয়েন্টিতে সব বেশি শিকারের রেকর্ড গড়েছিলেন। সেঞ্চুরিয়ান এবার ব্যাটসম্যান ধোনির ধামাকা চাই।
গোটা ওয়ানডে সিরিজে ফ্লপ। ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি। বল হাতেও মোটের ওপর ব্যর্থই ছিলেন। তবে প্রথম টি টোয়েন্টিতে পাশ মার্ক পেয়েছেন হার্দিক। ব্যাট হাতে শেষবেলায় ৭ বলে ১৩ রানের অপরাজিত কার্যকরী ইনিংসটাতে দল ২০০ রানের গণ্ডি টপকে ছিল।
রবিবার জোহানেসবার্গ টি টোয়েন্টিতে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। ২৪ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে দ.আফ্রিকার মাটিতে আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে অন্যতম সেরা একটা স্পেল উপহার দিয়েছিলেন ভূবি। অথচ সেদিন তিন পেসারে খেললে ভূবির বাদ পড়ারই কথা ছিল।
৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে খরুচে স্পেলই করেছিলেন। তবে দলকে আসল ব্রেক থ্রু-টা তিনিই দিয়েছিলেন। বেহারদিন-হেনডরিক্স জুটি যখন বিপজ্জনক হচ্ছে, তখনই বেহারদিনকে আউট করে ম্যাচ পকেটে পুরে দেন চাহাল-ই।
ওয়ানডে সিরিজে ১৭টা উইকেট তুলে নিলেও টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশে জায়গা দেওয়া হয়নি। টি টোয়েন্টিতে চাহালই এখন প্রথম পছন্দ। তবে সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম একাদশে তাঁকে জায়গা দেওয়া হতে পারে। কারণ সেঞ্চুরিয়ানের পিচে স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকছে। উনাদকটকে বলিয়ে কুলদীপকে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ম্যাচে উইকেট না পেলেও এই দলটায় তিনিই সেরা বোলার তাতে সন্দেহ নেই।