২৫,২৬ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ড, বিডিয়ার বিদ্রোহ, শহিদ হয়েছেন ৫৮ জন

২৫,২৬ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ড, বিডিয়ার বিদ্রোহ, শহিদ হয়েছেন ৫৮ জন

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেই কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় বিজিবি (ততকালীন বিডিআর) সদর দফতরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। ৯ বছর আগে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৮ জন সেনা সদস্য (৫৭ জন কর্মকর্তা ও একজন সৈনিক) নিহত হন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) ও আগামীকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আইএসপিআর ও বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জানানো হয়, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় শহীদদের স্মরণে আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানরা। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

 

আগামীকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পিলখানার বীর-উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় তত্কালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। সেদিন সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিজিবির বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়ে একদল বিদ্রোহী সৈনিক।

 

বিদ্রোহীরা দরবার হল ও এর আশপাশ এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়।ততক্ষণে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয় পিলখানা। পরে পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

ওই বিদ্রোহের ঘটনায় দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে দায়ের করা হত্যা মামলায় বিশেষ আদালত ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়।

 

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এ মামলায় প্রায় তিন মাস আগে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেও এখনো রায় লেখা চলছে বলে জানা গেছে। এই রায়ের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ অপেক্ষায় রয়েছে। রায় কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়েও কারো ধারণা নেই। তবে উভয় পক্ষ দ্রুত রায়ের কপি পাবে বলে প্রত্যাশা করছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিল করার জন্য উভয় পক্ষের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।