বাংলাদেশ দলে টি-টোয়েন্টি কাপ্তানির পদ থেকে গতবছর শ্রীলঙ্কা সফরে সরে দাঁড়ান মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের অনিচ্ছায় টিম ম্যানেজম্যান্ট আর বোর্ডের ইচ্ছাতেই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটা ছিল একরকম ‘ওপেন সিক্রেট’।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আরেকটি শ্রীলঙ্কা সফর শুরু হওয়ার ঠিক আগেই আবার মাশরাফির দুয়ারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি )। তাঁকে আবারও ছোট ফরম্যাটের দলে চান বিসিবি বস ও টিম ম্যানেজম্যান্ট এমনটাই খবর।
কারণ, শ্রীলঙ্কার কাছে ঘরের মাঠে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট অনুধাবন করেছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে তাদের যে দৈন্যতা তা দূরীকরণে মাশরাফির বিকল্প নেই। নতুন বলে বাংলাদেশে আজও পর্যন্ত তার মতো সেরা একজন বোলারও আসেনি। তবে বিসিবি সেটা একটু দেরিতেই অনুধাবন করেছে।
কিছুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে পাপন মাশরাফিকে ফেরানোর কথা বলেছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও এর কোনো অগ্রগতি চোখে পরছে না এখনও। তার মানে ধরে নেয়া যায় মাশরাফি তার সিদ্ধান্তে অটল থেকে টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য দেশের জার্সি আর গায়ে চড়াচ্ছেন না। যার প্রেক্ষিতে আসন্ন নিদাহাস ট্রফিতে তাকে চেয়েও পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
অধিনায়ক হিসেবে না হলেও ৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া তিন জাতির এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্টে তাকে দলের মেন্টর হিসেবে রাখার একটি গুঞ্জন ইতোমধ্যেই শিরোনাম হয়েছে মিডিয়ায়। কারণ হাথুরু যাওয়ার পর শূন্য বাংলাদেশের হেড কোচের আসন। কিন্তু সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক দলপতি ও সদ্য সমাপ্ত দুই সিরিজে টাইগারদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুজন যেখানে কারণ হিসেবে দাঁড় করালেন চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে।
এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘যেহেতু মাশরাফি প্রিমিয়ার লিগে খেলছে তাই কোনো সুযোগই নেই। তার ক্লাব এটা মেনে নেবে না।’
উল্লেখ্য ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে আবাহনীর হয়ে খেলছেন মাশরাফি। যার কোচ সুজন নিজেই।
সুজন একথা ভাল করেই জানেন, মাশরাফির ‘না’ কখনো হ্যাঁ হয় না। তবে এবার তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলে আখেরে তা দেশের জন্যই ভাল হবে জানালেন সুজন, ‘আমি মনে করি মাশরাফি দেশের জন্য সবসময় চিন্তা করে দেশের জন্যই ক্রিকেট খেলে, দেশের জন্যই খেলেছে সবসময়। তারপরও এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার যেটাকে আমাদের সম্মান করতেই হবে। যেহেতু ও অবসর নিয়েছে সেখান থেকে ফিরে আসবে কি না এটা বড় ব্যাপার। যদি আসে তবে খুবই ভালো, যদি না আসে তাহলে ওর সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সন্মান করি। ও যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা ওর জন্য ভালো এবং দেশের ভালোর জন্যই নেবে।’